সমকালীন প্রতিবেদন : জাতীয় যুব দিবসে নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে উদ্বোধন হয়ে গেল ‘অটল বিহারী বাজপেয়ী সেওরি নভাসেবা অটল সেতু’র। মুম্বইয়ের সেওরি থেকে রায়গড়ের চিরল পর্যন্ত এই সেতু নির্মিত হয়েছে।
৬ লেনের এই সেতুতে ১৬.৫ কিলোমিটার রাস্তা থাকছে সমুদ্রের উপর। জমির উপর থাকছে ৫.৫ কিলোমিটার রাস্তা। সব মিলিয়ে মোট ২২ কিলোমিটার লম্বা এই সমুদ্র সেতু। তাই এটি দেশের সবথেকে বড় সমুদ্র সেতুর তকমা পেয়েছে।
তবে এই সেতুর কিছু বৈশিষ্ট্য শুনলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। আসুন জেনে নিই এই বিষয়ে। জানা গেছে, এই অটল সেতু নির্মাণে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯০৩ মেট্রিক টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে।
সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজার ২৫৩ মেট্রিক টন। প্রতিদিন ৭০ হাজারের বেশি যানবাহনের ভার বহন করতে পারবে এই সেতুটি। ১০০ বছরের মধ্যে সেতুটিতে ক্ষতির সম্ভাবনা কম বলে দাবি করেছেন সেতু নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা।
বজ্রপাতের হাত থেকেও রক্ষা করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সেতুর শোভা বৃদ্ধি করতে স্থাপন করা বাতিস্তম্ভগুলি বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি। ঝড়ের গতিবেগ যাতে সহ্য করতে পারে, তার জন্য বিশেষ ডিজাইন করা হয়েছে।
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, অটল সেতুতে চার চাকার গাড়িগুলির সর্বোচ্চ গতিসীমা রাখা হয়েছে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এর মধ্যে রয়েছে হালকা মোটর গাড়ি, মিনিবাস, টু-এক্সেল বাস এবং ট্যাক্সির মতো যানবাহন।
সেতুতে ওঠার এবং নামার সময় গতিবেগ সীমিত রাখতে হবে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তবে, মোটরসাইকেল, মোপেড, থ্রি-হুইলার, অটো, ট্রাক্টর, ধীরগতির যানবাহন এবং পশু টানা যানবাহনকে এই সেতুতে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে না।
তাই এটিকে দেশের সবথেকে উন্নত সেতুর তকমা দেওয়া যায় অনায়াসে। দেশের স্থাপত্যে নতুন পালক যুক্ত হল। ভারত সরকার এমন সেতু নির্মাণ করায়, এই সেতুটি দেশের জন্য যথেষ্ট গর্বের বলে মনে করছেন অনেকেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন