সমকালীন প্রতিবেদন : উন্নত স্থল এবং মহাকাশ-ভিত্তিক উপগ্রহের সাহায্যে, সম্প্রতি নাসা একটি গ্রহাণুর আবিষ্কার করেছে। এই গ্রহাণু ৩০ জানুয়ারি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসছে। গ্রহাণুটিকে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ দ্বারা গ্রহাণু ২০০৭ ইজি হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।
এটি ৩০ জানুয়ারি আনুমানিক ৬.১ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে এবং ৩০৯২২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে পৃথিবী অতিক্রম করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর গতি একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল এর চেয়েও বেশি!
তবে নাসা জানিয়েছে যে, এই গ্রহাণু তেমন একটা বিপজ্জনক নয়। কারণ, মহাকাশ গবেষকদের মতে, শুধুমাত্র ৪৯২ ফুটের চেয়ে বড় মহাকাশীয় বস্তু, যা পৃথিবীকে ৭.৫ মিলিয়ন কিলোমিটারের কাছাকাছি দূরত্বে অতিক্রম করে, সেগুলিই বিপজ্জনক হয়।
আর এই গ্রহাণু তেমনটা নয়। এখন আপনি হয়তো ভাবছেন যে, গুচ্ছ গুচ্ছ গ্রহাণু প্রত্যেক বছর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। কিন্তু তাদের মধ্যে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে কটা? ভাবলে অবাক হতে হয় ঠিকই।
তবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। বহু ক্ষেত্রে পৃথিবীর নিজস্ব 'প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই' গ্রহাণুগুলির 'মোকাবিলা' করে। নির্দিষ্ট করে বললে, পৃথিবীর শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ শক্তি গ্রহাণুগুলিকে টুকরো-টুকরো করে ফেলে।
তাই এই গ্রহে আছড়ে পড়ে তার ক্ষতি করার শক্তি হারায় সেগুলি। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের বড় একটা অংশ এতে আশার আলো দেখছেন ঠিকই। তবে কারও কারও মতে, এর ফলে যে ছোট ছোট টুকরো তৈরি হয়, তা থেকে পৃথিবীর বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
তবে বড় গ্রহাণুর ধাক্কা সামলাতে পৃথিবী যে একাই একশো সেটা স্পষ্ট, দাবি সুইডেনের বিজ্ঞানীদলের। তাই গ্রহাণু নিয়ে টেনশনের তেমন কোনো বিষয় নেই বললেই চলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন