সমকালীন প্রতিবেদন : কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সম্মান জানান। আর সম্মানিতদের তালিকায় ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের একটি ছোট গ্রামের বাসিন্দা শীতল দেবী। তাঁকে অর্জুন পুরস্কার দেওয়া হয়।
শীতল দেবী হলেন প্রথম ভারতীয় তীরন্দাজ, যিনি হাত ছাড়াই তীরন্দাজি করেছেন। তিনি শুধু পা দিয়ে তীরন্দাজি করেছিলেন। ১৬ বছর বয়সি শীতল চিনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান প্যারা গেমসে দুটি সোনা এবং একটি রুপোর পদক জিতেছিলেন। তাঁর চোখ এখন অলিম্পিকে স্বর্ণপদকের দিকে রয়েছে।
তবে জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী এই শীতলের গল্পটা সকলকে মোটিভেট করবে নিঃসন্দেহে। জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাস-আক্রান্ত কিশতওয়ার জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম লোইধরের একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শীতল। জন্ম থেকেই তাঁর শরীরে কোনো হাত নেই।
এছাড়াও, শীতল জন্মগতভাবে ফোকোমেলিয়া নামক রোগে ভুগছেন। যাইহোক, শীতল এই রোগকে কখনই অভিশাপ হতে দেননি। তাঁর এবং তাঁর পরিবারের জীবন চ্যালেঞ্জে পূর্ণ ছিল, কিন্তু পরিবার কখনই এর কাছে নতি স্বীকার করেনি।
২০১৯ সালে ১১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস নর্দান কমান্ড তাঁকে দত্তক নেয় এবং পরিবারকে সাহায্য করা শুরু করে। এরপর শীতল ২০২৩ সালে বিশ্ব তীরন্দাজি প্রতিযোগিতায় একটি পদক জিতেছিলেন।
এরপর শীতল এশিয়ান প্যারা গেমসে দুটি সোনা এবং একটি রুপো সহ মোট চারটি পদক জেতেন। যখন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে সম্মান জানান, তখন পুরো হল হাততালির ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।
এই সময়ে শীতল দেবী নিজের হাতে পদক ধরতে পারেননি। তবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর সেই পদক নিয়ে শীতল দেবীর পাশে দাঁড়ালেন। শীতল শুধু কিশতওয়ার জেলারই নয়, সারা দেশের আইকন।
তিনি তাঁর শক্তি ও সাহসের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন। এখন শীতলের লক্ষ্য দেশের জন্য অলিম্পিক্স থেকে সোনার পদক জয় করা। হয়তো তাঁর এই স্বপ্নও পূরণ হবে অদূর ভবিষ্যতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন