সমকালীন প্রতিবেদন : গত বছর ২ রা সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে দেশের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য-এল ওয়ানের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলতি জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখ ১৫ লাখ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আদিত্য-এল ওয়ান নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
মহাকাশ ভ্রমণের ১৩২ দিনের মাথায় ল্যাগরেঞ্জ ওয়ান পয়েন্টে পৌঁছেছে। মহাকাশযানটি আগামী পাঁচ বছর ধরে সৌরজগৎ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে বলে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে। আর এবার এই পরীক্ষার প্রথম ধাপে পাশ করল ভারতের এই সৌরযান।
জানা গেছে, এবার নির্ধারিত ল্যাগরেঞ্জ দাঁড়িয়েই সূর্যের সামনে চৌম্বক-যন্ত্র বসানো হল, যার নাম ম্যাগনেটোমিটার বুম। এই যন্ত্রের সাহায্যে সূর্য সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেতে পারে ইসরো। গত ১১ জানুয়ারি এল-ওয়ান পয়েন্ট থেকে সূর্যের সামনে একটি ম্যাগনেটোমিটার বুম বসিয়েছে আদিত্য-এল ওয়ান।
যন্ত্রটি ছ’মিটার লম্বা। এই যন্ত্রের মাধ্যমে সূর্যের ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা স্তর পর্যবেক্ষণ করা যাবে। সেই সঙ্গে সূর্যের গ্রহগুলির মধ্যে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণেও সাহায্য করবে এই যন্ত্র। এই যন্ত্রের মধ্যে ম্যাগনেটোমিটারের দু’টি অত্যাধুনিক সেন্সর রয়েছে।
মূল সৌরযানের থেকে সেগুলি যথাক্রমে তিন মিটার এবং ছ’মিটার দূরে রাখা হয়েছে। বুদ্ধিদীপ্ত ভাবেই দু’টি সেন্সরের মাঝে এই দূরত্ব রাখা হয়েছে। তাতে আদিত্য-এল ওয়ান-এর নিজস্ব চৌম্বকীয় আকর্ষণবলের প্রভাব সেন্সরগুলির উপরে পড়বে না।
ইসরোর যন্ত্র সফলভাবে নির্দিষ্ট স্থানে বসানো হয়েছে এবং তথ্য সংগ্রহ করছে। ইসরো জানিয়েছে, ওই ম্যাগনেটোমিটার বুম সূর্যের সামনে বসাতে সময় লেগেছে মাত্র নয় সেকেন্ড। যন্ত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি।
এখন ভারতের লক্ষ্য, করোনার মাস ইজেকশন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা এবং সূর্যের তাপমাত্রা নিয়ে পরীক্ষা চালানো। আগামী দিনে এইসব আপডেট আসবে বলে আশা দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন