সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের আরও একটি সমবায় সমিতিতে জয়ী হলেন বামেরা। এবার একেবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই জয় এলো। বিপরিত পক্ষ মনোনয়ন জমা না দেওয়া এই জয় পেয়েছেন বামেরা। স্বাভাবিকভাবেই খুশি বামপন্থীরা।
দিন দুই আগেই গাইঘাটার ডুমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল। ৫১ টি আসনের মধ্যে ৪০ টি আসনে জয়ী হন বাম প্রগতিশীল প্রার্থীরা। ১১ টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। আর এই ফলাফলের নিরিখে এই সমবায় পরিচালনার দাযিত্ব পায় বামেরা।
এর পাশাপাশি, গাইঘাটার শিমুলিয়াপাড়া আদর্শ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডেও জয়ী হলেন বামেরা। গাইঘাটার সিপিএম নেতা কপিল ঘোষ এব্যাপারে জানান, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর এই সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
তাঁর অভিযোগ, সমবায়ে নির্বাচন না করানোর উদ্দেশ্যে এরপর প্রশাসক বসিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচন করানোর দাবিতে বামেরা হাইকোর্টের দারস্থ হন। অবশেষে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশ অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আর সেই কারণে ৬ আসনের এই সমবায় সমিতির নির্বাচনের জন্য মনোনয়পত্র তুলে তা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৫ ডিসেম্বর। বিজেপির পক্ষ থেকে ১০ টি মনোনয়নপত্র তোলা হলেও তারা শেষপর্যন্ত একটি মনোনয়নপত্রও জমা করেন নি।
অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি মনোনয়নপত্রও তোলা হয় নি। বাম প্রগতিশীল প্রার্থীদের ৬ জন নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা করেন। এই পরিস্থিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়ে যান বাম প্রগতিশীল প্রার্থীরা। ফলে ফের এই সমবায় পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন বামেরা।
এব্যাপারে বামেদের বক্তব্য, হার নিশ্চিত জেনে তৃণমূল মনোনয়নপত্র তোলে নি। আর বিজেপি মনোনয়নপত্র তুললেও তা জমা করার সাহস দেখায় নি। এব্যাপারে গাইঘাটার বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত দাস জানান, 'এতো কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে যে, সময়ের অভাবে আমরা প্রস্তুতি নিতে পারি নি।'
অন্যদিকে, গাইঘাটার তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাসের অভিযোগ, 'এই সমবায় সমিতির ভোটার তালিকায় প্রচুর গড়মিল রয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম, সেই তালিকা সংশোধন করে ভোট করাতে। কিন্তু তা না হওয়ায় আমরা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে এসেছি।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন