সমকালীন প্রতিবেদন : পৌষের শুরু হতে না হতেই প্রবল ঠান্ডা পড়েছে রাজ্যজুড়ে। উত্তর ভারত থেকে আসা শুষ্ক ও শীতল হাওয়া সক্রিয় আছে গত এক সপ্তাহ ধরেই। কলকাতায় এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির নিচে পৌঁছে গিয়েছে। এছাড়াও, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাংশে একাধিক জায়গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে যাচ্ছে দিন দিন।
পশ্চিমের জেলাগুলিতে এমনিতেও ঠান্ডা বেশি পড়ে। গত দুদিন ধরে শীত যেন দাঁত বসিয়ে দিচ্ছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলার তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যেতে পারে।
বুধবারের মধ্যে আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। পাহাড়ি জেলাগুলিতেও পারদ কমছে দ্রুত। দার্জিলিং এখন কুয়াশামাখা। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে আগামী কয়েকদিন আরও নামবে তাপমাত্রা। ভোরের দিকে কুয়াশার চাদরে ঢাকবে পাহাড়ি জেলাগুলি।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২২ ডিসেম্বর নাগাদ রাজ্যের বুকে পূবালি বাতাস সক্রিয় হবে। সেক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলে ঢুকলে দক্ষিণবঙ্গে শীতের দাপটে ছেদ পড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
পশ্চিম হিমালয়ে কোনও শক্তিশালী পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এলে শীতের দাপটে ছেদ পড়তে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই পরিস্থিতি আসেনি। এদিকে মৌসম ভবন জানিয়েছে, পাঞ্জাব থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে একটি প্রাকৃতিক কোল্ড প্যাসেজ।
জানা গেছে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তর রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর ছত্রিশগড়, উত্তর ওডিশা, বিহার এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলি এই কোল্ড প্যাসেজের মধ্যে পড়ছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তুরে হাওয়ার দাপট থাকায় দক্ষিণবঙ্গে মঙ্গল-বুধবার ফের পারদ-পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। শীতের এই স্পেল শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বলে আবহাওয়া দফতরের অনুমান। তাই বড়দিনের আগেই যে মারাত্মক ঠান্ডা পড়ছে রাজ্যজুড়ে, তা ফলাও করে বলাই যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন