সমকালীন প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। আর সেই সাথেই এগোচ্ছে ভারতীয় রেলের প্রযুক্তি ও উন্নতি। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে সমস্ত দেশবাসীদেরকে উপহার দেওয়া 'বন্দেভারত' যে সকলেরই মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
তবে এই অত্যাধুনিক ভারতীয় ডিজাইন ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণে তৈরি বন্দে ভারতের টিকিট মূল্য যে এখনও বহু সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে, তা অস্বীকার করা যায় না। আর সেই সমস্ত মানুষদের কথা ভেবেই রেলের তরফ থেকে এবার লঞ্চ হতে চলেছে বন্দে সাধারণ ট্রেন।
নতুন এই ট্রেনের নাম রাখা হবে 'অমৃত ভারত এক্সপ্রেস'। দেশের সেই সমস্ত মানুষ, যাদের কাছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে টিকিট কেটে চড়ার মতো ক্ষমতা নে,ই তাদেরকেই স্বল্প মূল্যে বন্দে ভারত ট্রেনের অনুভূতি দেওয়ার জন্য ভারতীয় রেলের এই পদক্ষেপ।
তবে, এই ট্রেনের নামের সাথে 'বন্দে ভারত' নামের মিল থাকলেও বাস্তবে অনেক ফারাক থাকছে দুটির মধ্যে। 'বন্দে সাধারন' বা 'অমৃত ভারত এক্সপ্রেস' ট্রেনে বন্দে ভারতের মতো এসি, অটোমেটিক ডোর, চেয়ারকার, ফুল ক্যাটারিং সার্ভিস ইত্যাদির কোনটাই থাকবে না।
তবে অন্যান্য সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনের থেকে এর ইন্টিরিয়ার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অন্যান্য সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় বেশি থাকবে। আর এই সমস্ত কারণেই এই ট্রেনের ভাড়া বন্দে ভারতের থেকে অনেকটা কম এবং সাধারণ এক্সপ্রেসের তুলনায় মাত্র ১৫ শতাংশ বেশি হবে।
বন্দে ভারত ট্রেন হল সেমি হাইস্পিড ট্রেন, যার সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটারের বেশি। আর সেখানে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিলোমিটার। তবে গতি কমিয়েই চালানো হবে। এই ট্রেন প্রথম পর্যায়ে মুম্বই, পাটনা এবং চেন্নাই বিভাগে চালু হতে পারে। ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হবে।
অনেকেই অমৃত ভারত এক্সপ্রেস বা বন্দে সাধারণ ট্রেনের প্রশংসা করলেও অনেকের মতে, এই ট্রেনের স্লিপার কোচগুলি অন্তত এসিযুক্ত করা উচিৎ ছিল। এই সমস্ত প্রশংসা ও সমালোচনার মধ্যেই এখন গোটা দেশবাসী অমৃত ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন