সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁর কালুপুরের উনাই নেতাজি সেবা প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক বিভাগ হিন্দোলের আয়োজনে ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পঞ্চদশ বর্ষ কালুপুর নাট্যোৎসব ২০২৩। সংস্থার নেতাজি ভবনে উৎসবের সূচনা করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব সুভাষ দে।
তিনদিনে মোট ৯ টি নাটক উপস্থাপিত হয়। এদের মধ্যে আমন্ত্রিত দল ছিল ৬ টি। নাটকগুলি ছিল যথাক্রমে– শ্যামবাজার অন্য দেশের 'তাসের দেশ', গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যমের 'দর্পণ', চাকদা নাট্যজনের 'জগাখিচুড়ি', চন্দননগর রঙ্গপীঠের 'জঙ্গলের দিন রাতের জঙ্গল',
শান্তিপুর সাংস্কৃতিকের 'ফিরে দেখা', বেলঘরিয়া অঙ্গনের 'স্বাধীনতা কাকে বলে'। হিন্দোল এর নিজস্ব উপস্থাপনা ছিল ৩ টি নাটক। শান্তনু বিশ্বাস নির্দেশিত 'মুক্ত মনের আলোয়', দেবব্রত পাঠক নির্দেশিত 'ভাষা আকাশের তারা', তপন দাস নির্দেশিত 'ঘাতক'।
প্রথম দিন শ্যামবাজার অন্য দেশ প্রযোজিত তাসের দেশ নাটকটি এক অন্য আবহ তৈরি করেছিল। ব্যাহত দৃষ্টি সম্পন্ন শিল্পীদের অভিনয়ে রবি ঠাকুর রচিত, শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশিত এই নাটকটি নাট্য উৎসবকে এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সাধারণ দৃষ্টির বাইরে অন্তর্দৃষ্টি জাগরনের কথা বলে এই উপস্থাপনা।
১৫ এবং ১৬ তারিখ বিদ্যালয়ভিত্তিক নাটক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ৫ টি বিদ্যালয়। এই প্রতিযোগিতায় কালুপুর পাঁচপোতা হাই স্কুল, বনগাঁ কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ছাত্র কল্যাণ বিদ্যাপীঠ যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
দ্বিতীয় দিন, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় দিবসে শেষ নাটক দেবব্রত পাঠক রচিত ও নির্দেশিত ভাষা আকাশের তারা দর্শকদের মন কেড়ে নেয়। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই নাটকটি এক অনুভবী বার্তা বয়ে আনে দর্শকদের মনে।
প্রদীপ ভট্টাচার্য, কৌশিক চট্টোপাধ্যায়, কমল চট্টোপাধ্যায়ের মতো নাট্য ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি এবং অভিনয় এই নাট্যোৎসবকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এই নাট্যোৎসব এক প্রকৃত উৎসবের রূপ নিয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন