সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে যেখানে শাসক দল তৃণমূলের আধিপত্য, সেখানে উল্টো চিত্র উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়। এই ব্লকের একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে এককভাবে জয়ী হলেন বাম প্রার্থীরা। এই সমবায় পরিচালনার দায়িত্বে অনেকদিন ধরেই বামেরা রয়েছে। এই নির্বাচনে সেই ধারাই বজায় থাকলো।
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের ডুমা এস এল প্রাইমারী কো-অপারেটিভ এগ্রিল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড নামের এই সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে গত বছরের ২৮ এপ্রিল। এরপর থেকে এই সমবায়ে নির্বাচনের জন্য অনেক লড়াই আন্দোলন চালাতে হয়েছে বলে বামেদের দাবি।
সিপিএমের গাইঘাটা পূর্ব আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক স্বপন ঘোষের অভিযোগ, সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর তৃণমূল চেয়েছিল নমিনেটেড বোর্ড করার, যাতে তাদের আধিপত্য থাকে। কিন্তু বামপন্থীরা সেই চক্রান্ত ভেস্তে দিয়ে কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হন।
অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবার এই সমবায় সমিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠির হয়। সেখানে ৫১ টি আসনের মধ্যে বামেরা জয়ী হন ৪০ টি আসনে। আর শাসক দল তৃণমূল জয়ী হয় মাত্র ১১ টি আসনে। স্বাভাবিকভাবেই ফের এই সমবায় সমিতি পরিচালনার দায়িত্ব পান বামেরা।
এব্যাপারে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস জানান, 'আমরা চেয়েছিলান সমবায় সমিতির সদস্যদের ভোটার তালিকা সংশোধন করতে। কারণ, সেই তালিকায় অনেক গরমিল রয়েছে। কিন্তু সেই দাবি না মেনে বামপন্থীরা হাইকোর্টে যায় এবং ভোট অনুষ্ঠিত হয়।'
গোবিন্দ দাসের অভিযোগ, 'ভোটার তালিকায় নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নাম তুলে সেই তালিকা অনুযায়ী ভোট করিয়ে ভোটে জিতেছে বামেরা। আগামীদিনে আমরা লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছ ভোট করে নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রমাণ দেব। আর এই ফলাফল লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।'
এদিকে, এই সমবায় সমিতিতে জয়লাভের মাধ্যমে উজ্জিবিত গাইঘাটার একাংশের বামপন্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, গাইঘাটা এলাকার একাধিক সমবায় সমিতি তৃণমূল জোর করে দখল করে রেখেছে। সেই জায়গাগুলিতে অনিয়মের ফলে ভুগতে হচ্ছে সেখানকার সদস্যদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন