সমকালীন প্রতিবেদন : তামিলনাড়ুকে একপ্রকার বানভাসি করে দিয়ে অবশেষে অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’৷ ল্যান্ডফলের সময়ে তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার৷
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ১টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের বাপাতলা এলাকায় ল্যান্ডফল হয় ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’৷ ৩ ঘণ্টা ধরে চলে এই ল্যান্ডফল৷
তবে এরপর ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল বরাবর ক্রমশ উত্তরদিকে এগোচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই, অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসিমা, কাকিনাদা, কৃষ্ণা, বাপাতলা এবং প্রকাশম সহ সাতটি জেলা থেকে ৯,৪৫৪ জন নাগরিককে ২১১টি ত্রাণ শিবিরে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ এর মাঝেও ৮ জনের প্রাণহানির খবর সামনে এসেছে।
অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ এর প্রভাবে আজ এবং আগামীকাল ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলায় দিনভরই মেঘলা আকাশ বজায় থাকবে।
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। পাশাপাশি, আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে।
মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার এর মধ্যে বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছও উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং কলকাতা জেলায়।
এখন বাংলায় যা মেঘ ঢুকেছে, তার প্রভাবেই ঊর্ধ্বমুখী পারদ। ডিসেম্বরের প্রথম তিন দিনেই কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির উপরে। আপাতত সেই তাপমাত্রা কমার বিশেষ সম্ভাবনা নেই।
সময়মতো তাপমাত্রা না কমলে, শীতের সব্জি চাষও পড়বে ক্ষতির মুখে। বৃষ্টি হলে ক্ষতি আরও বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত কৃষকেরাও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন