সমকালীন প্রতিবেদন : কখনো অনুভব হচ্ছে ঠান্ডা, আবার কখনো ঘামানো সন্ধ্যে। তাপমাত্রা যেন এমনই ছেলেখেলা করছে আমাদের সঙ্গে। আর এই ছেলেখেলার কারণেই বাড়বাড়ন্ত জ্বর ও সর্দি-কাশির। আর এই পরিস্থিতিতে বিপদ হয়ে উঠছে নিউমোনিয়া।
প্রতিবছরই দূর্গাপুজোর সময় থেকেই হালকা হালকা ঠান্ডা পড়া শুরু হয়ে যায়। আর বেশ জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে যায় নভেম্বরের শেষের দিকে। তবে এইবার যেন সবটাই কেমন উল্টো। চিকিৎসকদের মতে এর কারণ হচ্ছে, ঘনঘন তাপমাত্রার ওঠানামা।
আর এর ফলে ঘরে ঘরে বাড়ছে ভাইরাল ফিভারের সংখ্যা। রোগীরা ভিড় জমাচ্ছেন ডাক্তারের চেম্বারে। তার মাঝেই এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি কমেনি ডেঙ্গির প্রকোপ। সাধারণ মানুষ প্রাথমিকভাবে সহজে বুঝে উঠতে পারছেন না যে, শরীর খারাপ ডেঙ্গির কারণে হয়েছে নাকি ভাইরাল ফিভারের কারণে। কারণ, দুই ক্ষেত্রেই জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, বুকে যন্ত্রণা ও গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথায় ভুগছেন রোগীরা।
এই আবহাওয়ায় বেশি করে দেখা যাচ্ছে শুকনো সর্দি কাশি ও টনসিল ফোলার সমস্যা। যতদিন না পর্যন্ত তাপমাত্রা এই ওঠা নামা থেমে গিয়ে সম্পূর্ণভাবে শীত পড়ছে ততদিন পর্যন্ত এমনটা হতে থাকবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
এই সময় যেহেতু বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি, তাই যাদের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, এলার্জি ইত্যাদি রয়েছে, তাদের আরো বেশি সতর্ক থাকা উচিত। এমনকি নিউমোনিয়া হয়ে জীবনহানিও ঘটতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই সময় বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
আর সেগুলি হল—
১| ধুলো ও দূষণ রোধে মাস্ক ব্যবহার করুন।
২| বয়স্ক মানুষেরা বাইরে প্রাতঃভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
৩| বাইরে বেরোলে মাফলার দিয়ে গলা ঢাকতে হবে।
৪| ফ্রিজের ঠান্ডা জল একদমই খাওয়া যাবে না।
৫| এসি ও জোরে পাখা চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬| নিয়মিত উষ্ণ গরম জলে গার্গল করতে হবে।
৭| ইনহেলার ব্যবহারকারীদেরকে নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে ও প্রেসার, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৮| ডাক্তার না দেখিয়ে নিজে থেকে কোনওরকম অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করা যাবে না।
৯| সম্ভব হলে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিতে হবে।
এই ধরনের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে অনেকটা সুস্থ থাকা সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে যে, নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই জন্য বয়স্ক মানুষ, ছোট বাচ্চা এমনকি যাদের যাদের শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার কম, তাদেরকে একটু বেশি সাবধানে থাকতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন