সমকালীন প্রতিবেদন : আইপিএল-এ বাণিজ্যের দিক থেকে দ্বিতীয় সেরা দলের তকমা পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নাইটদের আগে কেবলমাত্র নীতা আম্বানির মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের সম্পদ ৮০৩ কোটি টাকার।
আর সেখানে কেকেআর-এর সম্পত্তি রয়েছে ৭৪০ কোটি টাকা। ট্রফি জয়ের দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও, এই বিষয়ে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস দলকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে শাহরুখ খানের মালিকানাধীন এই দল। কিন্তু কিভাবে এত রোজগার দলের?
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইপিএল-এর মিডিয়া সত্ব বিক্রি করার জন্য টিভি সম্প্রচারক এবং ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্ম থেকে মোটা অর্থ উপার্জন করে। এর থেকে কিছু অংশ যায় বিসিসিআই-এর কোষাগারে।
আর, আয়ের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ যায় আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির ঘরে। সবচেয়ে বড় অংশ পায় ট্রফি জয়ী দল। এভাবে টাকা পায় কেকেআর। এবার আসি স্পন্সরশীলের টাকায়।
গতবছর মাইফ্যাব ইলেভেন হয় কেকেআর-এর প্রধান স্পনসর। এর পাশপাশি, প্রধান স্পনসর হিসেবে রয়েছে টায়ার উৎপাদনকারী সংস্থা বিকেটি। এছাড়াও কেকেআর-এর অফিসিয়াল স্পনসর হল– লাক্স কোজি, জয় পার্সোনাল কেয়ার, মানি ৯, জিও, রয়্যাল গ্রীন৷
এর পাশাপাশি, দর্শকদের টিকিট বিক্রির টাকার অংশ পায় দল। ৮০,০০০ আসন সংখ্যার ইডেন গার্ডেন্স আসন সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম। আর তাই স্টেডিয়ামের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে কেকেআর একটা বড় অর্থ উপার্জন করেছে।
টিকিট ছাড়াও, এই ফ্র্যাঞ্চাইজি গেট পাসও বিক্রি করে। এতে তাদের কোষাগারে আরো অর্থ আসে। এখনও পর্যন্ত, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে দুবার আইপিএল ট্রফি জিতেছে কেকেআর। আর সেই বাবদ কিছু অর্থও এসেছে ঘরে।
এছাড়া, ‘শপ কেকেআর’ ওয়েবসাইট থেকে জার্সি, শর্টস, টুপি, টি-শার্ট এবং চাবির রিং-এর মতো কেকেআর-এর লোগো দেওয়া বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেও রোজগার করে দল। কারণ, আইপিএল চলাকালীন এই স্টোরে পণ্যের চাহিদা থাকে আকাশছোঁয়া। আর এইসব উপায়েই দ্বিতীয় ধনী দল হয়েছে কেকেআর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন