সমকালীন প্রতিবেদন : রবিবার ছত্তিশগড়, রাজস্থানও হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। মধ্যপ্রদেশেও ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। শুধুমাত্র তেলাঙ্গানায় জয় পেয়েছে কংগ্রেস।
এদিকে, ফলাফল বের হওয়ার পরে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কার্যত ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটকে আঁকড়ে ধরার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন।
হতাশ কর্মীদের ভোকাল টনিকও দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, এটা বিজেপির জয় নয়, কংগ্রেসের ব্যর্থতা। আর ঠিক এই জায়গাতেই এবার ইন্ডিয়া জোটের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি রাহুল গান্ধী– কার হাতে থাকবে কন্ট্রোল, তা নিয়ে জোর চর্চা হয়েছে এতদিন। তবে এদিনের ফলাফলের পর জোট সঙ্গীরা আদৌ নির্বাচনী ফলাফলে পিছিয়ে পরা পার্টি কংগ্রেসের নেতৃত্ব মেনে নেবে কি না, তা নিয়ে সংশয়টা আরও জোরালো হল।
কারণ, পরপর দুটি রাজ্য হাতছাড়া হওয়ার পর কংগ্রেসের উপর কতটা ভরসা রাখতে পারবে জোটসঙ্গীরা, সেই প্রশ্নও উঠছে। তার সঙ্গেই প্রশ্ন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব কি আদৌ মানবেন শরিক দলের নেতৃত্ব? এটা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
যদিও সোমবারের এই ভোটগণনার ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাফ যুক্তি দিয়ে বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দেখিয়ে দিয়েছেন যে, বিজেপিকে হারানো যায়। নিজের জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা মডেল। একাধারে উন্নয়ন দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন।'
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, 'রাজনৈতিকভাবে যে বিজেপিকে হারানো যায়, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। মমতাই মডেল। ওই রাজ্যগুলির সবাই বুঝতে পারছে, ওই সামাজিক স্কিম মমতার। কংগ্রেস তাদের গড় ধরে রাখতে পারছে না। এটা মানতে হবে।' কিন্তু ভোটের আগে জোটের সমীকরণ কোনদিকে ইঙ্গিত দেয়, সেটা হয়তো স্পষ্ট হবে কিছুদিনের মধ্যেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন