সমকালীন প্রতিবেদন : উৎসবের মরশুম পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অগ্নিমূল্য রয়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ-মাংস, মশলাপাতি থেকে শুরু করে চাল, ডাল- সবকিছুর দাম বাড়ছে দিনের পর দিন।
এই অবস্থায় কয়েকমাস ধরেই বাঙালির নাভিশ্বাস বাড়াচ্ছে পেঁয়াজের দাম। কারণ, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই গত কয়েক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রায় সব বাজারেই ছবিটা একরকম। যেখানে পুজোর আগে পর্যন্ত প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, সেখানে পেঁয়াজের দাম কোথাও কোথাও এখনো রয়ে গিয়েছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে।
আর এই বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণ করতে বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। ডাইরেক্টরেট অফ ফরেন ট্রেড একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, পেঁয়াজের আমদানি নীতি সংশোধন করার ফলে আগামী ৩১ মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদেশে পেঁয়াজ রফতানি করা পুরো নিষিদ্ধ।
আর এই পদক্ষেপের পর আগামী জানুয়ারির আগেই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এর প্রভাবে চরম বিপাকে বাংলাদেশ। সোমবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নতুন পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৮০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে সেদিন থেকেই পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে সেখানে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২১০ টাকায় উঠে যায়।
যা তার আগের দিনের চেয়ে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বেশি। এই অবস্থায় অনেকেই ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, অনেকেই আবার প্রতিবেশী দেশের প্রতি হয়েছেন সহানুভূতিশীল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন