Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রশ্ন ফাঁস আটকাতে এবছর মাধ্যমিকের প্রতিটি প্রশ্নে থাকবে ইউনিক কোড

Madhyakik-exam

সমকালীন প্রতিবেদন : মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় যতই কড়াকড়ি করা হোক না কেন, বর্তমান প্রযুক্তির সময়ে প্রশ্ন ফাঁস হওয়া আটকে রাখা সম্ভব হয়ে উঠছে না। 

পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই লুকিয়ে রাখা ফোনের সাহায্যে প্রশ্নের ছবি চলে যায় পরীক্ষা হলের বাইরে। আর তার মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই টুকলি আকারে পরীক্ষার ক্লাস রুমে পৌঁছে যায় প্রশ্নের উত্তর।

তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে আর ঢিলেমি রাখছে না। পরীক্ষার সময় চিটিং রুখতেই এবার প্রশ্নপত্রে থাকবে স্বতন্ত্র বা ইউনিক কোড। ২০২৪ এর ২ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই এখন থেকেই বেশ তো‌ড়জোড় শুরু করে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান যে, প্রশ্নের গোপনীয়তার পুরো বিষয়টাই ইউনিক কোডের ওপর নির্ভর করবে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ব্যবহৃত প্রতিটি প্রশ্নপত্রের উপর একটি আলাদা ইউনিক কোড থাকবে, যা পরীক্ষার্থীকে নিজের উত্তরপত্রে এবং অ্যাটেনডেন্স শিটেও লিখতে হবে। 

ফলে, কোনো কারণে যদি প্রশ্নপত্র বাইরে ফাঁস হয়েও যায়, তাহলে সেই প্রশ্নপত্রের ছবি দেখেই বোঝা যাবে যে, কোন পরীক্ষার্থী সেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। এর সাহায্যে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো অসৎ কাজ করার আগে থেকেই একটি ভয় কাজ করবে।

পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রশ্নপত্রে কোডগুলি এমনভাবে দেওয়া হচ্ছে, যাতে পর্ষদ কর্তারা একবার চোখ বুলালেই বুঝে যেতে পারেন যে প্রশ্নপত্রটি কোন জেলার। এরপর সেই কোড নাম্বারটিকে ট্র্যাক করলেই বেরিয়ে যাবে পরীক্ষার্থীর নাম ও রোল নাম্বার। 

এমনকি কেবলমাত্র প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতাতেই নয়, প্রশ্নপত্রের প্রতিটি পাতাতেই এই ইউনিক সিরিয়াল নাম্বারটি এমবেডেড থাকবে, যাতে প্রশ্নের যেকোনো পৃষ্ঠার ছবি তুললেই তা ধরা পড়ে যায়।

২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এইবার পরীক্ষা দেবে এমন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। এই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে নিয়ে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা পরিচালনা পর্ষদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। 

এই অবস্থায় ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এই স্বতন্ত্র বা ইউনিক কোড যে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে, তা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন