সমকালীন প্রতিবেদন : লোকাল ট্রেনের মধ্যে আইবুড়ো ভাত একেবারে নতুন ঘটনা নয়। চলতি বছরেই বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে এমন সব ঘটনা। এর আগে হাওড়া-তারকেশ্বর লোকাল ট্রেন অভিনব আইবুড়ো ভাতের সাক্ষী থেকেছে।
তখন কালিয়া থেকে চিংড়ির মালাইকারি, দই মিষ্টি সহ চোদ্দ পদ সাজিয়ে লোকাল ট্রেনেই এক যুবককে দেওয়া হয়েছিল আইবুড়ো ভাত। সেই ঘটনার আবারো পুনরাবৃত্তি ঘটলো। আয়োজনে আড়ম্বর না থাকলেও ভালোবাসা ছিল অঢেল।
ফেসবুকে ঘুরছে সেই ঘটনার ভিডিওটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, লোকাল ট্রেনের কামরায় বসেই চলছে আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান। সেই ভিডিয়োতে যদিও খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি আড়ম্বর ছিল না, তবে স্নেহ ও ভালবাসা ছিল ভরপুর।
লোকাল ট্রেনের সহযাত্রীরা হবু বরের সামনে খুলে রেখে দিয়েছেন নিজেদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা সব খাবার। কেউ টিফিনে করে এনেছেন ভাত, কেউ মাছ। ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, লুচি, পাঁচ রকমের ভাজা, পাঁচ রকমের মিষ্টি- বাকি ছিল না কিছুই।
সকলেই হবু বরকে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছেন। ধূপ জ্বালিয়ে হবু বরকে বরণ করে নিচ্ছেন তাঁরা। আশীর্বাদ হিসাবে টাকাও তুলে দিচ্ছেন প্রিয় মানুষটির হাতে। ট্রেনে জায়গা সীমিত, তাই দরজার সামনে সরু জায়গাতেই করা হয়েছে সমস্ত আয়োজন।
রানাঘাট লোকাল ট্রেনেই হল এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। উল্লেখ্য, ট্রেনে যাতায়াত করতে করতে অফিস যাত্রীরা প্রায় পরিবারের মতো হয়ে ওঠেন। একে অপরের জন্য সিট রাখেন। পুরুষেরা তাস খেলেন, গান করেন!
মহিলারা বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে আসেন ট্রেনের সহযাত্রীদের জন্য! এ যেন এক অন্য পরিবার! আর সেই ট্রেনেই এই যুবককে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন ট্রেনের সহযাত্রীরা! সামনেই তাঁর বিয়ে। সে তো এক অন্য জীবনে পদার্পন।
তবে তার আগেই যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হল, তাতে করে তাঁর মনে বন্ধুত্বের সংজ্ঞাটাই যেন বদলে গেল। তাই তো এই জগতে বন্ধুরা হলেন সবার থেকে বেশি আপন, সবার থেকে বেশি কাছের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন