সমকালীন প্রতিবেদন : শনিবার তখন সবে শীতের সকাল শুরু হয়েছে। এর মাঝেই ঘটে গেল এই প্রাকৃতিক দুর্বিপাক। বাংলাদেশের একাধিক এলাকায় এদিন সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। জানা গেছে, কম্পনের উৎসস্থল কুমিল্লা থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভারতীয় সময় শনিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশে ভূমিকম্প হয়। উৎসের গভীরতা ছিল মাটি থেকে ৫৫ কিলোমিটার নীচে। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এই বাংলাতেও।
রাজ্যের একাধিক জেলায় মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর, উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ ও টাকিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভব করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে শিলিগুড়িতে। দক্ষিণ কলকাতার কিছু অংশেও অনুভব করা গেছে ভূমিকম্প। এছাড়াও, এদিন সকালে ভূমিকম্প হয়েছে ত্রিপুরা, মিজোরামের বেশ কিছু এলাকায়।
এর পাশাপাশি, একইসাথে এদিন লাদাখেও ভূমিকম্প হয়েছে বলে খবর মিলেছে। শনিবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে লাদাখে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৩.৪। কম্পনস্থলের উৎসের গভীরতা ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে। তবে বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশেই।
জানা গেছে, এদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, চুয়াডাঙা, নোয়াখালি সহ একাধিক এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল রামগঞ্জ।
বাংলাদেশে অনেকেই ভূমিকম্প টের পেয়েছেন। আতঙ্কে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যদিও এর পরে আফটার-শক হবে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন