সমকালীন প্রতিবেদন : পাঠান, জওয়ানের পর ক্রিসমাসের আগে বক্স অফিসে ধামাকা করেছে শাহরুখ খানের সিনেমা ডাঙ্কি। রাজকুমার হিরানীর পরিচালনায় এই সিনেমাও হতে চলেছে সুপারহিট। তবে এই সিনেমার গল্প কিন্তু সত্য ঘটনা অবলম্বনে।
কারণ, সিনেমার নামটি আদতে অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার এক পদ্ধতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং কানাডায় পৌঁছনোর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি রুট এই ডাঙ্কি। তবে তা মোটেই আইনসিদ্ধ নয়। শাহরুখ খানের এই সিনেমায় সেই রুট ধরেই স্বপ্নের দেশে পাড়ি দেওয়ার গল্প বুনেছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি।
কয়েকবছর ধরেই পঞ্জাব থেকে ডাঙ্কি রুট ধরে অধিকাংশ ভারতীয় পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন কানাডায়। হরিয়ানার যুবকদের এই রুটের পছন্দের ডেস্টিনেশন আমেরিকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ডাঙ্কি রুটের পদে পদে বিপদ রয়েছে।
এই রুটে যাত্রা করার খরচও কম নয়। ডাঙ্কি রুট দিয়ে মার্কিন মুলুকে যেতে খরচ হয় ১৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা। এই খরচ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত। যত খরচ বাড়বে, ততই কম বিপদ।
এই পদ্ধতির জন্য বেশ কয়েকটি ‘ট্রাভেল এজেন্সি’ ভিসার ব্যবস্থা করে মূলত মালবাহী জাহাজের মাধ্যমে তাদের অন্য দেশে অনুপ্রবেশ করায়। মাঝে কখনও পেরতে হয় মরুভূমি, কখনও ঘন জঙ্গল। দুঃসহ গরম, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, সবই মানতে হয়।
বিভিন্ন জায়গায় এই সব মানুষদের 'ড্রপ' করে দেওয়ার জন্য এজেন্টরা থাকে। তারাই পুরো পদ্ধতি পরিচালনা করে। কিন্তু এইসব মানুষদের শেষমেষ প্রতারিত হতে হয়।
কারণ, কেউই আর দেশে ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে পারেন না নিজে থেকে। কারণ, পুরো বিষয়টাই অবৈধ। আর এই গল্পকেই দেখানো হয়েছে কিং খানের সিনেমায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন