সমকালীন প্রতিবেদন : ডিসেম্বরের শুরুতেই ফের ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলে। কারণ, থাইল্যান্ড সাগর থেকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে।
ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত যে গভীর নিম্নচাপ আছে, তা শনিবারের মধ্যে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। রবিবারের মধ্যে সেটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে।
তারপর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার দুপুরের মধ্যে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও সংলগ্ন উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে। কিন্তু তারপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ কোনদিকে হবে? এই বিষয়ে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুরের পর থেকে কার্যত সমান্তরালভাবে উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড়।
তারপর মঙ্গলবার দুপুর-বিকেলের দিকে নেল্লোর ও মছিলিপত্তনমের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল পার করবে মিগজাউম। সেইসময় ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হবে। দমকা হাওয়ার বেগ ১০০ কিমিতে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ু, উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশ, দক্ষিণ উপকূলীয় ওড়িশায় ভারী বৃষ্টি হবে। কোনও কোনও জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।
তবে পশ্চিমবঙ্গে সেরকম বৃষ্টি হবে না। একেবারে হালকা বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায়। রবিবার বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলায়। বঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই জানানো হয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম নিয়ে যে আতঙ্কের তেমন কারণ নেই আমাদের রাজ্যে, তা বলাই যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন