সমকালীন প্রতিবেদন : বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বিড়াল এমন একটি প্রাণী, যার প্রভাব অনেকভাবে পড়তে পারে আমাদের জীবনে। এমনিতে বাড়িতে বিড়ালের আগমনকে শুভ বলেই অভিহিত করা হয়ে থাকে। তবে বিড়ালের গায়ের রং হিসেবে এর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো বাড়িতে যদি বাদামি রঙের বিড়াল আসে, তাহলে তার ফলাফল শুভ হয়। মনে করা হয়, এমন হলে বাড়ির সৌভাগ্য ফিরে আসে। তবে বাড়িতে কালো বিড়ালের আগমন কিন্তু মোটেই শুভ নয়।
বাস্তশাস্ত্রে এটিকে অশুভ ইঙ্গিত বলে মনে করা হয়। এছাড়া, কালো বিড়ালের কান্নাকেও অশুভ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা হলে বাড়িতে কোনো খারাপ ঘটনা বা কোনো খারাপ খবর আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এর পাশাপাশি, পথেঘাটে যাতায়াতের সময় বিড়াল রাস্তা কাটলে তাকে অশুভ ইঙ্গিত বলে ধরা হয়। অর্থাৎ যে রাস্তা দিয়ে আপনি যাচ্ছেন, সেই রাস্তাটি যদি কোনো বিড়াল পারাপার করে, তাহলে বাকি যাত্রাপথে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কেউ আবার বলেন যে, বিড়ালটি যদি বাঁদিক থেকে ডানদিকে চলে যায়, তাহলে সেটি ভীষণভাবে অশুভ। আবার অনেকেই মনে করেন যে, সেটি যদি ডানদিক থেকে বাঁদিকে চলে যায়, সেটি অতটা অশুভ হয়না। তবে বিড়াল রাস্তা কাটলে অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়েন।
যদিও বাস্তবে এমন কোনো যুক্তি কাজ করে না। এর কারণ জানতে হলে ইতিহাসের কিছু বিষয়কে জেনে রাখা দরকার। যখন মানুষ শিকার করতো, তখন কোনো এক প্রাণীকে রাস্তা কেটে পেরোতে দেখলে তারা ধারণা করতো যে, তার পিছনে আরো একটি প্রাণী রয়েছে।
আর বিড়াল যেহেতু হিংস্র প্রজাতির প্রাণী, তাই বিড়ালের প্রতি এই ধারণা আজও রয়ে গেছে একইভাবে। এছাড়াও, রাতের বেলা যেহেতু বিড়ালের চোখ জ্বলজ্বল করে।
তাই সেই সময় বিড়ালকে দেখেই সাবধান হতেন অনেকেই। এই কারণেই এই প্রথা তখন থেকেই রয়ে গেছে। তাই এই ধরণের অন্ধবিশ্বাসকে প্রশ্রয় দেবেন না কখনোই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন