সমকালীন প্রতিবেদন : বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো দীঘা মোহনায় আসে জেলেদের নৌকো। পারাদ্বীপ থেকে আসে এমন একটি নৌকো, যাতে ছিল ১৫০ কেজির এক জল দানব। এটি আদতে একটি কই ভোলা মাছ।
আর এই মাছ দেখেই হুলুস্থুল পড়ে যায় দীঘা মোহনায়। শেষমেষ নিলামে ওঠে এই বিশালাকার মাছ। আর নিলামে প্রায় ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় এই মাছ। কিন্তু কেন এতটা মূল্যবান এই মাছ? কি এমন গুনাগুন রয়েছে এর মধ্যে?
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই কই ভোলা মাছ ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই মাছের পটকা ও অন্যান্য অঙ্গ জীবন দায়ী ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। এছাড়াও, এই মাছ বিদেশেও রপ্তানি হয়। তবে এই প্রথম নয়, বেশ অনেক আগে এইরকমই বিশালাকার কই ভোলা উঠেছিল দিঘায়।
সেবার মাছটির ওজন ছিল ১৭৫ কেজি। গভীর সমুদ্রের এই মাছ সহজে মৎস্যজীবীদের জালে আসেনি। এছাড়া, দানবাকৃতি কই ভেটকিও মাঝে মাঝে দীঘা মোহনায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে। কখনও বিপুল আকৃতির শংকর মাছ পেয়ে থাকেন জেলেরা।
এমন দানবাকৃতির মাছ মানেই মৎস্যজীবীর জন্য লটারির টিকিট। হাজার হাজার টাকায় নিলাম হয় এমন সব বিরল দানবাকৃতি মাছ। তাই মন্দার বাজারে এই ধরনের মাছ পেয়ে খুশি মৎস্যজীবীরা। কই ভোলা মাছ দেখতে যেমন ভিড় জমান মৎস্যজীবীরা, তেমনি ভিড় জমান দীঘার পর্যটকেরাও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন