সমকালীন প্রতিবেদন : হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ শুরুর পর কেটে গিয়েছে এক মাসেরও বেশি সময়। গত ৩৫ দিনে বার বার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করেছে ইজরায়েলি সরকার। এবার গাজাবাসীর স্বার্থে কিছুটা সুর নরম করল ইজরায়েল।
উত্তর গাজায় রোজ ঘণ্টা চারেকের জন্য অভিযান বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স। ওই সময়ের মধ্যে গাজাবাসীরা ‘মানবাধিকার করিডর’ দিয়ে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেমন যেতে পারবেন, তেমনই বন্দিদের মুক্তির জন্যও ওই সময়টুকু ব্যবহার করা যাবে।
তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, চার ঘণ্টার এই সময়সীমাকে যুদ্ধবিরতি ভাবলে ভুল হবে। হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের লড়াইয়ে কোনও ছেদ পড়বে না। চার ঘণ্টার ওই সময়টুকু শুধুই গাজার নিরীহ, অসামরিক সাধারণ মানুষের জন্য।
এ নিয়ে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই যেমন চলছে, চলবে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে গাজার বাসিন্দারা যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পারেন, তাই শুধুমাত্র তাঁদের কথা ভেবে কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে।’
এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পাশাপাশি আইডিএফ সিরিয়াতেও আকাশপথে হামলা করেছে। ইজরায়েলি সেনার দাবি, দক্ষিণ ইজরায়েলের শহর এলাতের একটি স্কুলে সিরিয়ার সেনার তরফে ড্রোন হামলা করা হয়। ওই স্কুলে ৪০ জন ছিলেন।
সৌভাগ্যক্রমে প্রাণহানির কোনও খবর নেই। এদিকে, এই যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইজরায়েলের ওপরে লাগাতার চাপও দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কন এই যুদ্ধ নিয়ে ইজরায়েলকে প্রশ্ন করেছেন।
পাশাপাশি, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি করেছেন। এছাড়া, ফরাসি প্রেসিডেন্টও যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছেন। পরিস্থিতি বিচার করে নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইজরায়েল।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারে আরও জানিয়েছেন, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইজরায়েল কোনওভাবেই গাজা দখল বা নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানাবে না। এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কোনও মতবিরোধ হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন