Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

৬০ বছরের মহাকাশ অভিযানে প্রাণ হারাতে হয়েছে ২০ জন মহাকাশচারীকে

 

Space-expedition

সমকালীন প্রতিবেদন : বহু অজানা রহস্যের খোঁজ করতে এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে বিগত কয়েক দশক ধরে মহাকাশে অভিযান চালাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। সেই দৌড়ে আমেরিকা, চিন, রাশিয়ার পাশাপাশি রয়েছে ভারতও। 

আর এই মহাকাশ অভিযানে গিয়ে বেশ কয়েকবার মহাকাশযানগুলিকে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে মহাকাশচারীদের। এখনও পর্যন্ত মহাকাশ অভিযানে যেতে গিয়ে ২০ জন নভশ্চরের প্রাণ গিয়েছে। 

১৯৬৭-তে অ্যাপোলো ১ মিশনে উৎক্ষেপণের সময় লঞ্চ প্যাডে আগুন লেগে প্রাণ হারান তিন মহাকাশচারী। ১৯৭১-এ সয়ুজ ১১ মিশনে প্রাণ যায় তিন নভশ্চরের। ১৯৮৬ ও ২০০৩-এ নাসা'র স্পেস শাটল দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ১৪ জনের।

কিন্তু যদি কোনও মহাকাশচারী মহাকাশে মারা যান তা হলে তাঁর সেই প্রাণহীন দেহের কী হবে? এই বিষয়ে নাসার প্রোটোকল অনুযায়ী, যদি কোনও মহাকাশচারী পৃথিবীর নিম্নকক্ষে মারা যান, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের আশেপাশে মারা যান, তা হলে তাঁর সঙ্গীরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একটি ক্যাপসুলে সেই দেহ পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিতে পারবেন। 

তবে যদি কোনও মহাকাশচারী চাঁদে মারা যান, তা হলে মাসখানেকের মধ্যেই বাকি মহাকাশচারীরা তাঁর দেহ পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে পারেন। সেক্ষেত্রে মহাকাশযানের ভেতরেই দেহ সংরক্ষণ করা সম্ভব। 

তবে যদি মঙ্গলে গিয়ে কোনো মহাকাশচারীর প্রাণ যায়, তাহলে কিন্তু তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। কারণ, এক্ষেত্রে বছরের পর বছর সময় লেগে যেতে পারে। 

তবে চাঁদ বা মঙ্গলপৃষ্ঠে কোনও মহাকাশচারীর প্রাণ গেলে তাঁকে পোড়ানো বা কবর দেওয়া যাবে না। চাঁদ বা মঙ্গলে দেহ পোড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণ শক্তি এবং জ্বালানির প্রয়োজন। 

কিন্তু মহাকাশচারীদের কাছে সীমিত জ্বালানি থাকার কারণে তা সম্ভব নয়। তাই একথা বলাই যায় যে, মহাকাশে কোনও নভশ্চর প্রাণ হারালে তার দেহ ফিরে আসার সম্ভাবনা কিন্তু খুবই ক্ষীণ। 






‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন