সমকালীন প্রতিবেদন : গত দেড়মাস ধরে বারুদের গন্ধে ভরে রয়েছে মিডল-ইস্টের বাতাস। হাজারে হাজারে মানুষের বেঘোরে প্রাণ চলে গেলেও যুদ্ধের পরিস্থিতি মোটেই থামেনি গাজা ভূখণ্ডে। বরং দিনের পর দিন বেড়েই গেছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ঝাঁঝ।
এই রকম সংঘাতের আবহ শুরু হয় গত ৭ অক্টোবর থেকে। ওইদিন হামাসের হাতে অপহৃতদের উদ্ধারে হামাসকে পাল্টা হামলায় নামে ইজরায়েল। একের পর এক ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বলতে শুরু করে গাজা স্ট্রিপ।
দেড়মাস ধরে চলছে এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। তবে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলো ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, ৫০ জন পণবন্দির মুক্তির বদলে এবার ইজরায়েল সংঘর্ষ বিরতিতে সায় দিয়েছে। বুধবার ইজরায়েলের মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত হয়।
ফলে নেতানিয়াহু শাসিত ইজরায়েল এই ৫০ পণবন্দির মুক্তিতে নিয়েছে সংঘর্ষ বিরতির পথ। এদিকে, গতকাল হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ে সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ক্ষেত্রে একটা ইতিবাচক পরিণতির কাছকাছি রয়েছি।
কিন্তু ঠিক কী রয়েছে ওই চুক্তিতে? সমঝোতা অনুযায়ী, হামাসের হাতে আটক ২৪০ ইজরায়েলি নাগরিকের মধ্যে ৫০ জনকে ছেড়ে দেবে হামাস। এর জন্য তারা সময় পেয়েছে ১০ দিন। ইজরায়েলি সরকারের তরফে বলা হয়েছে, প্রথমে ছাড়া হবে মহিলা ও শিশুদের।
তবে কবে থেকে ওই চুক্তি কার্যকর হবে, তা এখনও জানা যায়নি। ওই চুক্তির বিনিময়ে ৪ দিন হামলা থামাতে সম্মত হয়েছে ইজরায়েল। এদিকে, ওই চুক্তি অনুযায়ী ইজারায়েল তাদের জেল থেকে বেশকিছু প্যালেস্তিনীয় মহিলা ও শিশুদের ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে।
এদের অধিকাংশ ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ও পূর্ব জেরুজালেমের। ঠিক কতজনকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তা জানায়নি ইজরায়েল সরকার। তবে দেশের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ছাড়া হতে পারে ১৫০ জনকে। এর পাশাপাশি, গাজায় জ্বালানি ও ত্রাণ ঢুকতে দিতেও রাজি হয়েছে নেতেনিয়াহু সরকার।
তবে যুদ্ধ এখনই পুরোপুরি থামছে না। কারণ, ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর বক্তব্য, তাঁরা যুদ্ধ থামাচ্ছেন না। চার দিনের জন্য আপাতত বিরতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতি ১০ জন করে বন্দিকে মুক্তিদানের শর্তে একদিন করে যুদ্ধবিরতি বৃদ্ধি করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন