সমকালীন প্রতিবেদন : ৭ অক্টোবর হওয়া হামলার বদলা নিতে যেন হামাসকে চিরতরে মুছে ফেলার প্রতিজ্ঞা করেছে ইজরায়েল। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। তাদের হাতে একে একে নিকেশ হয়েছে শীর্ষ হামাস নেতারা।
এবার তেল আভিভের রক্তচক্ষুর নজরে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ। বোমা ফেলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার বাড়ি। এর মাঝেই এবার বড়সড় ঘোষণা করল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ।
শুধু উত্তর গাজা নয়, এবার দক্ষিণ গাজায় আক্রমণ চালানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ইহুদি দেশটি। সেখানকার বাসিন্দারের শীঘ্রই এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার প্যলেস্তিনীয়। ফলে আবারও ভয়ানক বিপদের মুখে পড়তে চলেছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ।
সিএনএন সূত্রে খবর, বুধবার ইজরায়েলের পক্ষ থেকে দক্ষিণ গাজার সবচেয়ে বড় শহর খান ইউনিসের পূর্ব দিকে বনি শুহাইলা, খুজা, আবাসান এবং আল কারা অঞ্চলে লিফলেট ফেলা হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, 'জঙ্গি সংগঠনগুলোর ব্যবহার করা সব বাড়িগুলোকে নিশানা করা হবে। আইডিএফ আপনাদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে। আপনারা শীঘ্রই এলাকা খালি করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।'
কিন্তু এই অবস্থায় কোথায় যাবে দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা! এই প্রশ্নটা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে এই অবস্থায়। কারণ, একমাস আগে হামাসকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইজরায়েলি ফৌজ।
সেইসময় সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাসিন্দাদের দক্ষিণে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তেল আভিভ। প্রাণভয়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আশ্রয় নেন দক্ষিণ গাজায়।
এবার ইহুদি দেশটির কোপ পড়ল সেখানেও। এদিনের এই হুমকির পর আতঙ্কের প্রহর গুনছেন সেখানকার মানুষ। তারা জানেন না, আগামীকাল তাদের সঙ্গে ঠিক কি হতে চলেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন