সমকালীন প্রতিবেদন : এক মাস পার হয়ে গিয়েছে হামাস–ইজরায়েল লড়াইয়ের। তবুও যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিতই মেলেনি কোনও তরফে। গত ২৭ অক্টোবর থেকে গাজা ভূখণ্ডে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল। ইতিধ্যেই গাজার উত্তরদিকে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে আক্রমণ হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে হামাসের ডেরা।
গাজায় কয়েকশো কিলোমিটার জুড়ে বিছিয়ে থাকা এই সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ধরনের বিস্ফোরক। বুধবারই তেল আভিভ দাবি করেছে, হামাস জঙ্গিদের নিকেশ করতে গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি সেনা।
এবার তারা জানাল, হামাসের অস্ত্র প্রস্তুকারকদের প্রধান মহসিন আবু জিনাকে খতম করেছে ইজরায়েলের সেনা বাহিনী। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে নেতানিয়াহু সরকার দাবি করছে যে যুদ্ধ শেষ হলে গাজার পুরো নিরাপত্তার দায়িত্ব তারা নেবে।
অর্থাৎ ইজরায়েলের কথায় এটা স্পষ্ট যে, যুদ্ধ শেষে ফের গাজার দখল নিতে তৈরি তারা। কিন্তু আমেরিকা এই বিষয়টিকে মেনে নিতে নারাজ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্ধৃত করে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, 'গাজায় ইজরায়েলি সেনার পুনর্দখল মোটেই কাম্য নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেমনই মনে করেন।
যুদ্ধের পর গাজার পরিস্থিতি এবং প্রশাসনের রূপ কেমন হবে, সেটা নিয়ে একটা স্বাস্থ্যকর আলোচনা প্রয়োজন।' এদিকে, এই যুদ্ধে সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
কারণ, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ৫৬৯ প্যালেস্তিনীয়ের প্রাণহানি হয়েছে, এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৩২৪।
পরিসংখ্যান বলছে, গাজা এবং অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক মিলিয়ে ১৯৬৭ সাল থেকে যত প্যালেস্তিনীয় শিশুর প্রাণহানি হয়েছে, তার চেয়ে গত এক মাসে ইজরায়েলি হামলায় অনেক বেশি বেঘোরে প্রাণ গিয়েছে। এই নির্মমতার দায় কার? হামাস নাকি নেতানিয়াহু? প্রশ্নটা আজ বেশি প্রাসঙ্গিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন