সমকালীন প্রতিবেদন : গত মাসে ইজরায়েলের মাটিতে প্রথম রকেট হামলা চালায় হামাস গোষ্ঠী। এই ঘটনার পর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
জেহাদিদের মুছে ফেলতে আক্রমণ শুরু করা হয় গাজায়। এখন গাজা ভূখণ্ডের গভীরে ঢুকে হামলা শুরু করে দিয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। বিশ্বের অনেক দেশ যেমন তেল আভিভের পাশে দাঁড়িয়েছে, তেমনই বেশ কিছু দেশ তাদের বিরোধিতাও করছে।
কারণ, নেতানিয়াহুর প্রশাসনের আক্রমণে প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার প্যালেস্তিনিয়। বিঘ্ন ঘটছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও। এই প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসের বর্বরতার ছবি বিশ্বের কাছে তুলে ধরে কূটনৈতিক সহযোগিতা পেতে চাইছে ইজরায়েল।
এই আন্তর্জাতিক টেনশনের মাঝে এবার স্থলপথে গাজার ওপরে আক্রমণ বাড়ালো ইজরায়েল। হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের দাবি, ইজরায়েলের হামলায় অন্তত ১৯৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এই হামলায় নিখোঁজের সংখ্যাটা প্রায় ১২০।
গাজার ভেতরের পরিস্থিতি ক্রমেই যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। কারণ, গাজার একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, যেখানে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা করা হয়, সেখানে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
অন্য হাসপাতালগুলিতেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। অন্যদিকে, জাবালিয়ায় শরণার্থী শিবিরে হামলার পাশাপাশি ইজরায়েল একটি বেকারিতেও আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে সেখানকার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার। রাতেও ইজরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
তবে এই অবস্থার মাঝে দাঁড়িয়েও যুদ্ধে পূর্ণচ্ছেদ টানতে রাজি নয় ইজরায়েল। ইতিমধ্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলে দিয়েছেন, সিংহের মতো লড়াই করছেন তাঁরা! এই সবে শুরু। তাঁরা কখনও ভুলতে পারবেন না, শত্রুরা তাঁদের উপরে কী নৃশংস অত্যাচার করেছে!
তাই তাঁরাও গোটা বিশ্বকে ভুলতে দেবেন না, দশকের পর দশক ধরে তাঁদের উপরে কী অকথ্য অত্যাচারই না হয়েছে! কিন্তু এক পক্ষ এই অত্যাচার না থামালে যুদ্ধ থামবে কিভাবে? প্রশ্নটা আজ যেন বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন