সমকালীন প্রতিবেদন : আগামী ১২ নভেম্বর, রবিবার কালীপুজো এবং ১৫ নভেম্বর ভাইফোঁটা। অর্থাৎ এই উৎসবের আর এক সপ্তাহের কিছু সময় হাতে রয়েছে। আর এইসব উৎসব যে হালকা শীতেই পালিত হবে, তা এবার বোঝা যাচ্ছে স্পষ্টভাবে। কারণ, হালকা শীতের আমেজ পড়েছে গোটা রাজ্যে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছিল যে, একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই রাজ্যে শীতের আগমনে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত ছত্তিশগড়ের উপর অবস্থান করছিল একটি ঘূর্ণাবর্ত।
আর এর কারণে শনিবার পর্যন্ত উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। তবে এর প্রভাব আপাতত কেটে গিয়েছে। তাই এবার শীত ধীরে ধীরে চুপিসারে ঢুকবে রাজ্যে। উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবও থাকবে রাজ্য জুড়ে।
আজ কলকাতা শহরে তেমনভাবে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। সেই কারণেই শহরে শুষ্ক উত্তুরে বাতাস বইবার সম্ভাবনা থাকছে। এজন্যই কলকাতার তাপমাত্রা আজ থাকবে স্বাভাবিকের নীচে।
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার দিকে নজর দিলে দেখা যাচ্ছে যে, গত কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকার কারণে এমনিতেই দিনের বেলায় তাপমাত্রা ছিল বেশি। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে যাওয়ার পরেই এবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়, বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা নামবে আজ থেকেই।
পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। উত্তরে বাতাসের প্রভাব আজ থেকেই মোটামুটি লক্ষ্য করা যাবে একাধিক জেলায়। তাই শীতের আমেজ এবার আসছে দক্ষিণবঙ্গেও, এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
অন্যদিকে, আজ থেকেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও পারদ নামতে শুরু করবে স্বাভাবিকের নীচে। সেই কারণেই উত্তরবঙ্গেও শীতের প্রভাব শুরু হবে এই সপ্তাহ থেকেই। তাই কালীপুজো যে শীতের মাঝেই কাটতে চলেছে, তা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন