সমকালীন প্রতিবেদন : ১৯৮৩-র ট্রফি জয়ের পর দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্যের স্বাদ পেতে ভারতকে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো ২৮ বছর। ২০১১’র বিশ্বজয়ের পর কেটে গিয়েছে বারো বছর। সাফল্য আজও অধরা। ২০২৩-এ ফেবারিট হয়েও ফাইনালে হেরে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
তবে টানা ব্যর্থতার ছবিতে খানিক পরিবর্তন আনার চেষ্টাতে মরিয়া ‘মেন ইন ব্লু’। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে চার বছর। আগামী ২০২৭-এর বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ে ও নামিবিয়ার মাটিতে। সেই বিশ্বকাপে খেলবে ১৪ দেশ। লড়াই হবে আরও কঠিন।
আফ্রিকান সিংহের ডেরায় সিংহবিক্রম দেখিয়েই খেতাব জেতার লক্ষ্য সামনে রেখে আগামী কয়েক বছর প্রস্তুতি সারতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। তবে বর্তমান দলের অনেক সদস্যই হয়তো আগামী বিশ্বকাপে খেলবেন না ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে।
এই তালিকায় প্রথমেই যাঁর নাম আসবে, তিনি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বর্তমানে তাঁর বয়স ৩৬। ২০২৭-এর বিশ্বকাপের সময় হিটম্যানের বয়স দাঁড়াবে ৪০। তাই তিনি কার্যত আগামী বিশ্বকাপে অনিশ্চিত। এছাড়াও, রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের বয়স আগামী বিশ্বকাপে হবে ৪১।
আর মহম্মদ শামির বয়স তখন হবে ৩৭। তাঁদের আগামীতে খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। রোহিত, অশ্বিন, শামি ছাড়াও আগামী বিশ্বকাপে ভারতের জার্সিতে সম্ভবত দেখা যাবে না সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুরদের।
তবে আগামী বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির বয়স ৩৯ হলেও তাঁর ফিটনেসের কারণে তাঁকে ভারতের জার্সিতে দেখা যেতে পারে। ওপেনিং-এ ভারতের তিন বিকল্প হতে পারেন শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।
মিডল অর্ডারে নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে পারেন শ্রেয়স আইয়ার এবং কে এল রাহুল। দলে ফিরতে পারেন বাম হাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঋষভ পন্থও। দলে থাকতে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া’ও। ফিনিশার’ হিসেবে আগামী চার বছরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে নিতে পারেন রিঙ্কু সিং।
এছাড়াও, আগামী বিশ্বকাপে দলে দেখা যেতে পারে রবি বিষ্ণোই, কুলদীপ যাদব, বুমরাহ, সিরাজ এবং আর্শদীপ সিং-কে। সেই দল যে আরো বেশি শক্তিশালী হবে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন