সমকালীন প্রতিবেদন : গুজরাট টাইটানসের ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়াকে ট্রেড উইন্ডো দিয়ে ঘরে ফিরিয়ে নিজেদের স্কোয়াড শক্তিশালী করার চেষ্টা করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু পরের সুখী সংসার ভেঙে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নিজেদের ডেরা মজবুত করার চেষ্টা বুমেরাং হয়ে দেখা দিতে পারে।
এমআই পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জসপ্রীত বুমরাহর বিদ্রোহী মনোভাবে তেমন ইঙ্গিতই চোখে পড়ছে। সম্প্রতি, বুমরাহ একাধিক পোস্ট করেন সোশাল মিডিয়ায়। একটা পোস্টে তিনি লেখেন, ”নীরবতা অনেক কথা বলে যায়।” আবার আরেকটি পোস্টে বুমরাহ লিখেছেন, ”কখনও কখনও বিশ্বস্ত হওয়ার থেকে, অনুগত হওয়ার থেকে লোভী হওয়া ভালো।”
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে প্রত্যাবর্তন ভালোভাবে নেননি ভারতের তারকা পেসার? পাণ্ডিয়া ফিরে আসার জন্যই কি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সুখের সংসারে ভাঙন ধরল? এরকমই একাধিক প্রশ্ন এখন বুমরাহকে নিয়ে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার বুমরাহ আনফলো করার পর থেকেই নানা ব্যাখ্যা ঘুরছে। শোনা যাচ্ছে, বুমরাহ অন্য দলে চলে যেতে পারেন। উল্লেখ্য, হার্দিককে দলে নেওয়ার পিছনে যে নিছক অল-রাউন্ডারের প্রয়োজনই একমাত্র কারণ নয়, সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের জমানায় আইপিএলে অল-রাউন্ডারদের প্রয়োজয়ীয়তা কমছে। আসলে রোহিতের পরে পান্ডিয়ার হাতেই যে মুম্বইয়ের নেতৃত্ব উঠতে চলেছে, সেটা অনুমান করতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন হয় না।
তবে এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এতদিন রোহিত পরবর্তী জমানায় মুম্বইকে নেতৃত্ব দেওয়ার সব থেকে যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন জশপ্রীত বুমরাহ। হার্দিক উড়ে এসে জুড়ে বসায় বুমরাহর অভিমান হওয়াই স্বাভাবিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় জশপ্রীতের রহস্যজনক পোস্ট তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই কারণেই বুমরাহ যে মুম্বই ছেড়ে অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিতে চলেও যেতে পারেন, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে এই বিষয়ে এখনো কোনো অফিসিয়াল বার্তা সামনে আসেনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন