সমকালীন প্রতিবেদন : হামাসকে খতম করার শপথ নিয়ে গাজায় অল-আউট অপারেশন শুরু করেছে ইজরায়েল। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই খোদ ইজরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধান বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'ওরা যুদ্ধ শুরু করেছে। শেষ করে ছাড়ব আমরা।'
এদিকে, নিজেদের এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও। আর এই যুদ্ধের মাঝে পড়ে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন এই যুদ্ধে অন্যান্য দেশকেও তাদের ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগজনক বক্তব্য উঠে এল বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে। বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে যে, এই দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে চরম প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি, বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটতে পারে এই সংগ্রামের ফলে। এর প্রভাব অপরিশোধিত তেলের উপরেও পড়বে।
এমনটা হলে ভারত সহ সারা বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এর আগে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই সময় বিভিন্ন সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধির আকারে এর প্রভাব দেখা গিয়েছে।
এই যুদ্ধের আগুন ঠাণ্ডা হওয়ার আগেই ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই অবস্থায় বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে অব্যাহত সংঘাত বৈশ্বিক পণ্য ও অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়াতে পারে।
যদিও এখনো পর্যন্ত এর সীমিত প্রভাব রয়েছে। তবে এখন বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে যে, জ্বালানি বাজারের অস্থিরতা খাদ্য নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
কারণ এই পরিস্থিতিতে, বিশ্বব্যাপী তেলের সরবরাহ প্রতিদিন ছয় মিলিয়ন থেকে আট মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাস পাবে, যার ফলে প্রাথমিকভাবে ৫৬ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ দাম বেড়ে যাবে। এতে প্রতি ব্যারেল ১৪০ থেকে ১৫৭ ডলারের মধ্যে থাকবে।
বিশ্বব্যাংকের ডেপুটি চিফ ইকোনমিস্ট এবং প্রসপেক্টস গ্রুপের ডিরেক্টর আয়হান কোস বলেছেন, ‘উচ্চ তেলের দাম যদি টিকিয়ে রাখা হয়, তাহলে খাদ্যের দাম বেশি হওয়ার বিষয়টি অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে’। তাই এমনটা হলে যে এই যুদ্ধের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে গোটা বিশ্ব, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন