Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩

হামলার হাত থেকে বাঁচতে উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নিচ্ছে হামাসের সদস্যরা

 

Members-of-Hamas

সমকালীন প্রতিবেদন : ঠিক এক মাস আগে অর্থাৎ গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হামাস গোষ্ঠী। পাশাপাশি, সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ করে পণবন্দি করে ইজরায়েলি নাগরিকদের। যার পর পালটা হামলা চালায় ইজরায়েল। 

ধুন্ধুমার যুদ্ধের এক মাস পূর্তিতে মঙ্গলবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই ভাষণেই হামাসের পাশাপাশি হিজবুল্লাকেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, 'যদি হিজবুল্লা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তবে বড় ভুল করবে। এই সিদ্ধান্ত তাদের আয়ুষ্কালের ঝুঁকির হবে।'‌ 

ইতিমধ্যেই গাজায় ঢুকে হামাসের সুড়ঙ্গ ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। এবার গাজা শহরের কেন্দ্রস্থল দখল করে ফেলেছে ইজরায়েলি সেনা। পরিস্থিতির চাপে উত্তর গাজা ছেড়ে এখন দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নিচ্ছে হামাসের সদস্যরা। 

এদিকে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়লেও এখনই যুদ্ধবিরতিতে রাজি নন, জানিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু।  ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এখন বলছেন, ইজরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজী নয়। তবে তার দেশ যুদ্ধে স্বল্প বিরতি দিতে রাজি। 

নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, '‌সাধারণ যুদ্ধবিরতি সম্ভব নয়। রণকৌশল হিসেবে এক ঘণ্টার বা কয়েক ঘণ্টার বিরতি হতে পারে। আমাদের লোকজনদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা হতে পারে।'

অন্যদিকে, এই যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। এই বিষয়ে তিনি একটি ভয়ানক সতর্কবার্তা জারি করে বলেছেন যে, গাজা ‘শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে’। তিনি জোরের সঙ্গে বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি কেবল মানবিক সংকট নয় বরং মানবতার সংকট। এর জন্য যুদ্ধবিরতির জরুরী প্রয়োজন। 

যদিও যুদ্ধ থামানোর কোনো চেষ্টা করছে না ইজরায়েল। হামাসের হামলার পর পাল্টা ইজরায়েলি বোমাবর্ষণের বিরাম নেই। বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে ইজরায়েলকে সতর্ক করা হলেও বেঞ্জামিন নেতেনিয়াহুর দাবি, গাজাকে তছনছ না করে থামবে না ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স। তাই অপশন দিয়েও যে ইজরায়েল যুদ্ধ থামাতে রাজি নয়, তা এখন মোটামুটি পরিষ্কার। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন