সমকালীন প্রতিবেদন : তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের ঝাঁঝ কমেনি একটুও। হামাসকে মুছে ফেলতে গাজা ভূখণ্ডের ক্রমশ ভিতরে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে জঙ্গিরাও। যার জবাবে শুক্রবার এই সুন্নি সংগঠনের তৈরি একটি সুড়ঙ্গ অর্থাৎ আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্কে আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েল।
বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হামাসের ‘দ্য মেট্রো’র পরিকাঠামো। গতকাল ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে এই হামলার খবর দেওয়া হয়। ইজরায়েল জানিয়েছে যে, সুড়ঙ্গের প্রবেশ পথ উন্মুক্ত করে বিস্ফোরক বিছিয়ে দেওয়া হয়।
গাজায় এই বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেওয়া হয় মাটির নিচে হামাসের ডেরা। জানা গেছে, এই সুড়ঙ্গগুলি অনেকটা মাকড়শার জালের মতো। কয়েকশো কিলোমিটার ছড়িয়ে রয়েছে এই টানেল নেটওয়ার্ক।
গোটা গাজা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই সুড়ঙ্গগুলির মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালায় হামাস গোষ্ঠী, এমনটাই অভিযোগ ইহুদি দেশের। সূত্রের খবর, গোটা গাজা ভূখণ্ড জুড়েই মাটির ৮০ মিটার নিচে ছড়িয়ে রয়েছে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক, যার ব্যাপ্তি কয়েকশো কিলোমিটার।
ওই সব সুড়ঙ্গের ভিতরে রয়েছে বাঙ্কার, হাতিয়ার ভাণ্ডার থেকে শুরু করে নানা ধরনের ফাঁদও। আর এবার সেখানেই আক্রমণ করল ইজরায়েল। এদিকে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে এবার মুখ খুললেন হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।
শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া ভাষণে তিনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইজরায়েল গাজায় আগ্রাসন না থামালে হিজবুল্লা এই যুদ্ধে সামিল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গাজায় ইজরায়েলি বাহিনী যে হামলা চালাচ্ছে, তার নিন্দা জানিয়ে হিজবুল্লা প্রধান বলেন, এর দায় সকলকে নিতে হবে।
এই যুদ্ধ একটি আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হওয়া থেকে আটকাতে গাজায় হামলা বন্ধ করারও বার্তা দেন তিনি। এদিকে, এই গুলির লড়াইয়ে ক্রমেই একটু একটু করে ধ্বংস হচ্ছে গাজা ভুখন্ড। সেখানকার ছবিটা যেন শ্মশানের মতো হয়ে উঠছে।
ইজরায়েল এখন গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে জল, বিদ্যুৎ এবং খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, গাজায় এখন ২৪ ঘণ্টার জন্য জল, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। তাই সাধারণ গাজাবাসীর জীবন এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন