সমকালীন প্রতিবেদন : চাঁদ হল পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবীর থেকে বহুগুণ ছোট হলেও চাঁদের প্রভাব ব্যাপকভাবে রয়েছে পৃথিবীর বুকে। পৃথিবীতে প্রানের অস্তিত্বের পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চাঁদ। তাই চাঁদকে নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহলের পাশাপাশি নানা সম্ভাবনা তৈরির আগ্রহ সৃষ্টি হয়ে থাকে সময়ে সময়ে।
আর এবার চাঁদের মাটিতে বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। জানা গেছে, ২০৪০ সালের মধ্যে নাসা চাঁদে বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করেছে। আর এই কাজে ব্যবহার করা হবে চাঁদেরও মাটি এবং ধুলো। এই বিষয়ে একদল বিজ্ঞানী ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছেন।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, চাঁদে কেবল বাড়িই নয়, রাস্তাও তৈরি করা সম্ভব। সূর্যের আলো বড় লেন্স দিয়ে কেন্দ্রীভূত করে তৈরি হবে ল্যান্ডিং প্যাড। চাঁদে আগ্নেয় শিলা মহাজাগতিক বিকিরণে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে গুঁড়ো হয়েছে। যদিও সূর্যালোক প্রতিফলিত হয়ে চাঁদকে সাদা দেখায়।
চাঁদের মাটি আসলে গাঢ় ধূসর। পৃথিবীতে ভুমিক্ষয় করে জল এবং বাতাস। চাঁদে বাতাস নেই। তাই এখানকার ধুলো তীক্ষ্ণ প্রান্ত যুক্ত সুচালো। চাঁদের ধুলো বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত এবং আঠালো। তবে এই ধুলো মহাকাশচারীদের ফুসফুসে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।
এই ধুলোতে স্পেসসুট এবং ল্যান্ডারের ক্ষতি হতে পারে। এই রাস্তা তৈরি হলে চাঁদে ল্যান্ডারের চলাচল সুবিধাজনক হবে। চাঁদে একটি মানব বসতি স্থাপন করা একটি জটিল এবং উচ্চাভিলাষী প্রচেষ্টা, যার জন্য সতর্ক পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, সম্পাদন এবং মূল্যায়ন প্রয়োজন।
এছাড়াও, এটি একটি দূরদর্শী এবং অনুপ্রেরণামূলক প্রকল্প, যা মহাকাশে মানবতার ভবিষ্যতের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তাই একথা বলাই যায় যে, এমনটা হলে মানুষের মহাকাশ গবেষণার এক নতুন দিক খুলে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। আর সেই চেষ্টাতেই এখন গবেষণা চালাচ্ছে নাসা। হয়তো ফল আসবে খুব তাড়াতাড়ি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন