সমকালীন প্রতিবেদন : আগুনে ঘি ঢেলে গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালিয়েছিল হামাস। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজারের উপর ইজরায়েলি। ২৪০ জন ইজরায়েলিকে পণবন্দি বানায় এই সুন্নি জেহাদিরা। যার প্রত্যুত্তরে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় অভিযান শুরু করে ইজরায়েল।
তার পর থেকে ১ মাস পেরিয়েও জারি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই রক্তক্ষয়ী লড়াই। হামাস-ইজরায়েল সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজারের উপর প্যালেস্তিনীয়। কিন্তু হামাসের শেষ না দেখে যুদ্ধ থামাতে নারাজ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
উল্লেখ্য, এই সংঘাতে শুরু থেকেই এগিয়ে রয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। একের পর এক শীর্ষ হামাস নেতাকে নিকেশ করেছে তারা। গাজা থেকে হামাসের নাম মুছে ফেলতে গোটা গাজা ভূখণ্ড জুড়ে মাটির নিচে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কে অভিযান চলছে।
বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া দেওয়া হচ্ছে ‘দ্য মেট্রো’র পরিকাঠামো। এবার ইজরায়েলের তরফে দাবি করা হল, দীর্ঘ ১৬ বছর পর গাজার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে হামাস গোষ্ঠী। সূত্রের খবর, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ট ইজরায়েলের সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, 'হামাস গাজার উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
তারা দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিরক্ষাবাহিনীকে প্রতিহত করার আর কোনও ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। গাজার সাধারণ মানুষ হামাসের ঘাঁটি লুট করছে। হামাসের শাসন বা তাদের ক্ষমতার উপর গাজাবাসীর আর কোনও বিশ্বাস নেই।'
কিন্তু হামাসের পর গাজার নিয়ন্ত্রণ কে নেবে? এক্ষেত্রে ইজরায়েলের নাম কিন্তু সবার আগে উঠে আসছে। যদিও অনেকদিন আগেই ইজরায়েল প্রশাসন দাবি করেছিল যে, তারা কোনোদিনই গাজার দখল নেবে না।
কিন্তু এমনটা বললেও যে সম্ভাবনা অন্যদিকে নির্দেশ করছে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে এখন যুদ্ধ থামলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যাবেন কিছু সাধারণ মানুষ। সেটুকুই এখন সকলের কাম্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন