সমকালীন প্রতিবেদন : সিঙ্গুর আন্দোলনের হাত ধরে বাংলার মসনদে আসে তৃণমূল সরকার। ক্ষমতায় এসেই কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু এর পরেই রাজ্য থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে বিদায় নেয় টাটা গোষ্ঠী।
তারপর থেকেই শিল্পক্ষেত্রে খরা বজায় রয়েছে বাংলায়। সেই কারণে শিল্প-বিমুখী তকমা পায় তৃণমূল সরকার। তবে এবার সেই অপবাদ ঘুচতে চলেছে। কারণ, এবার বাংলায় বিপুল বিনিয়োগের পথে রিলায়েন্স গোষ্ঠী।
মঙ্গলবার নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে সপ্তম বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে মুকেশের সঙ্গে বৈঠকও করেন মমতা। বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে মমতার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন আম্বানি।
তিনি বলেন, ‘এই রাজ্য এখন বিনিয়োগের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এর পরেই তিনি ঘোষণা করেন, রিলায়েন্স গোষ্ঠী আগামী তিন বছরে বাংলায় আরও ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে হবে সেই বিনিয়োগ?
রিলায়েন্স কর্ণধার জানিয়েছেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিক্ষেত্রকে ডিজিটালি আরও উন্নত করার জন্য বিনিয়োগ করা হবে। একই সঙ্গে, টেলি যোগাযোগে জিওকে আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর তারা।
পাশাপাশি, জৈব শক্তি উৎপাদনে রিলায়েন্স যে গুরুত্ব আরোপ করেছে, সেই ক্ষেত্রেও বাংলায় বিনিয়োগ করা হবে। রিলায়েন্সের পাশাপাশি মঙ্গলবার আরও কিছু বিনিয়োগের ঘোষণা করেছেন অন্য শিল্পপতিরা।
জানা গেছে, এবার নারায়ণা গ্রুপ আগামী দু’বছরের মধ্যে কলকাতায় একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলবে, যেখানে হৃদ্রোগ, ক্যানসারের চিকিৎসার পাশাপাশি অঙ্গ প্রতিস্থাপনও হবে।
এছাড়াও, জে কে গ্রুপ খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে দুগ্ধশিল্পে বিনিয়োগ করতে চলেছে। বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত অন্য শিল্পপতিরা তাঁদের বক্তব্যে বাংলার শিল্প সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। অর্থাৎ, এবার বাংলায় যে শিল্পবিপ্লব হতে চলেছে, তার আভাস মিলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন