সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনার ই–লার্নিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই ব্যবস্থা যাতে রাজ্যের সর্বত্র চালু করা যায়, তার দাবি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এইরকম আরও বেশ কিছু আবেদন রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে জানানো হয়েছে। সোমবার এমনই জানালেন সংগঠনের রাজ্য নেতা মানস পাল।
এদিন সংগঠনের বনগাঁ মহকুমা শাখার উদ্যোগে বনগাঁয় দীপাবলীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মহকুমা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষিকা এবং সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এমনই জানিয়েছেন এই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা গোবিন্দ ভট্টাচার্য।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংগঠনের রাজ্য নেতা মানস পাল আরও বলেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ৩০ জন পড়ুয়াপিছু একজন করে শিক্ষক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্যে শিক্ষকের অপ্রতুলতার কারণে যাতে পড়াশোনায় বিঘ্ন না ঘটে, তারজন্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যে, অন্তত শ্রেণীকক্ষ পিছু একজন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।
এর পাশাপাশি প্রতিটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক এবং একজন করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ করা হয়, তারজন্যও আবেদন জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে ২০১৪ সালে শেষবারের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সম্প্রতি ফের সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অভিযোগের সুরে মানস পাল এদিন বলেন, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র থেকে সর্বশিক্ষা মিশনের মাধ্যমে রাজ্যে অর্থ আসে। বর্তমানে সেই অর্থ আসছে না।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার নিজেদের তহবিল থেকে কিছু কিছু অর্থ মঞ্জুর করছে। বালা প্রকল্পের অর্থ ৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন