সমকালীন প্রতিবেদন : 'সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর নেতৃত্বে দিল্লিতে একশো দিনের কাজের বকেয়া আদায়ের দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। আর তারপর থেকে রাজ্যের উপর ইডি, সিবিআই দিয়ে তারই প্রতিশোধ নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার।' শুক্রবার বনগাঁ শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ তোলা হল।
অতি সম্প্রতি রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নিয়ে ইডির তদন্তে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর সেই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপকহারে প্রচার হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার।
কয়েক মাস পরেই লোকসভা নির্বাচন। আর তাই তার আগে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের কথা যাতে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তা আশা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
সেই উদ্দেশ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক, পুরসভা, জেলাস্তরে বিশেষ সাংবাদিক বৈঠক করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে শুধু সমালোচনা নয়, রাজ্যে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের কথাও যাতে সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরা হয়, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে সেই আবেদনও করা হচ্ছে।
এদিন বনগাঁ প্রেস ক্লাব ভবনে বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস সহ বনগাঁ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর, মহিলা তৃণমূল নেতৃত্ব, যুব এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেখানে দলের মূল এবং শাখা সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
এদিন দলের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, কেন্দ্র সরকার করোনা পরিস্থিতিতে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। আবার দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দাম কিছুটা কমিয়ে দেয়। বিনামূল্যে রেশনও বন্ধ করে দিয়েছে। আবার লোকসভা নির্বাচন আসছে দেখে নতুন করে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
প্রতিনিধিরা আরও অভিযোগ করেন, বনগাঁ মহকুমার বিজেপি নেতা, বিধায়কদের সারা বছর ময়দানে দেখা যায় না। ভোটের আগে তাঁরা মানুষের কাছে যায়। নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের একটা বড় অংশের ভোট আদায় করেছে বিজেপি। কিন্তু তারা যে আদৌ নাগরিকত্ব দিতে পারবে না, মতুয়া এখন তা বুঝে গেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন