সমকালীন প্রতিবেদন : সপ্তম জয়ের সন্ধানে মুম্বইয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে হয় ভারতকে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান তোলে ভারত।
মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন গিল। ৮৮ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন বিরাট কোহলি। শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে আসে অনবদ্য ৮২ রান। ৫ উইকেট নেন লঙ্কান তারকা দিলশান মধুশঙ্কা। ৩৫৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৫৫ রান তুলে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
৫ উইকেট নেন মহম্মদ সামি। ৩টি উইকেট মহম্মদ সিরাজের। ৩০২ রানের বিরাট ব্যবধানে এই ম্যাচ জেতার ফলে নেট রানরেট অনেকটাই বেড়ে গেল ভারতের। এবং ঝুলিতে এলো মোট ১৪ পয়েন্ট। সঙ্গে হাতে এলো সেমিফাইনালের টিকিট।
তবে এই ম্যাচেই একাধিক রেকর্ড গড়ল টিম ইন্ডিয়া। কোনও বিশ্বকাপ ম্যাচে এটিই হয়ে উঠল ভারতের সবথেকে বড় জয়। যদিও বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি কোনো দলের দ্বিতীয় সবথেকে বড় জয়। কারণ, চলতি বিশ্বকাপেই অস্ট্রেলিয়া ৩০৯ রানে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে।
এরপরেই নাম উঠল ভারতের। ৩০২ রানে রোহিত অ্যান্ড কোম্পানি শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ইতিহাস লিখলো মুম্বইয়ে। যদিও এর আগে ভারতের সর্বোচ্চ জয় এসেছিল ২০০৭ সালে। সেবার ২৫৭ রানে বারমুডাকে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
এছাড়াও, এই ম্যাচেই কোনও সেঞ্চুরি ছাড়াই সবথেকে বড় টোটাল স্কোর করলেন ভারতের ব্যাটাররা। এর আগে কোনও ব্যাটার সেঞ্চুরি না করা সত্ত্বেও ভারতের সবথেকে বেশি রানের ওয়ান ডে স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৩৫১ রানের। এবছরই ত্রিনিদাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই নজির গড়ে ভারত।
তারও আগে ২০০৫ সালে নাগপুরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারত ৬ উইকেটে ৩৫০ রান তোলে কোনও ব্যাটারের শতরান ছাড়াই। তাই এই ম্যাচ যে সবদিক থেকে ভারতের ক্রিকেটকে এক উঁচু সিংহাসনে উত্তীর্ন করল, তা এইসব পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। আপাতত টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য খেতাব জয়। এই আশায় বুক বাঁধছে গোটা দেশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন