সমকালীন প্রতিবেদন : চলতি বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দল ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে। হাতে বাকি রয়েছে আর দুটো ম্যাচ। প্রথমটা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, পরেরটা নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে।
তবে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা এই ম্যাচ হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। এটিই ইডেনের মাঠে টিম ইন্ডিয়ার একমাত্র ম্যাচ। তাই বিশ্বকাপে চরম সফল দলের খেলা দেখতে ইতিমধ্যে ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। আর এখানেই হল গোলমাল। ইডেন গার্ডেন্সে টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে তৈরি হল চূড়ান্ত বিতর্ক।
ক্রিকেটপ্রেমীদের অভিযোগ, অনলাইনে যে সংস্থা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির টিকিট বিক্রি করছে তাদের পাশাপাশি, সিএবি এবং বিসিসিআই কর্তারা টিকিট সরিয়ে দিয়েছেন। সেই টিকিট কালোবাজারে চলে গিয়েছে।
এই অবস্থায় নাকি ৫০০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকাতেও। এই বিষয়ে ময়দান এবং এন্টালি- কলকাতা পুলিশের এই দুই থানায় মোট সাতটি এফআইআর হয়েছে সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে।
তবে এই বিষয়টিকে ঘিরে ব্যাপক তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ৯৪টি টিকিট।
এছাড়া, চড়া মূল্যে টিকিট বিক্রির অভিযোগে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে হর্ষ গুপ্ত এবং হর্ষিত আগরওয়াল নামে দু’জনকে। তাঁদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আটটি টিকিট। এই বিষয়ে সিএবি কর্তারা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কার্যত কিছু করার নেই।
প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছে বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও। তিনি বলেন, 'ভারতের খেলার টিকিটের চাহিদা প্রচুর। সবাই খেলা দেখতে চান। কিন্তু স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট। তাই সবাই টিকিট পাবেন না এটাই স্বাভাবিক। চাহিদা প্রবল বলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।'
তবে শুধু টিকিটের কালোবাজারি নয়, বিশ্বকাপে বেটিং চক্রও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই অবস্থায় দুর্নীতি দমন কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের কাছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন