সম্পদ দে : বাঙালি বাড়ি, আর সেখানে মাছের কথা উঠবে না তা তো অসম্ভব। আর বাঙালির এই মাছ প্রীতির মধ্যেই আবার ইলিশ ও চিংড়ি নিয়ে লেগে থাকে ঘটি ও বাঙালের লড়াই। তবে ঘটি হোক বা বাঙাল, দুই বাড়িতেই রুই মাছ নিয়ে কোনও দ্বন্দ নেই।
বাঙালি বাড়ির অন্যতম পছন্দের মাছ কিন্তু এই রুই মাছ। এমনকি অনেক বাঙালি বাড়ির রান্নাঘরে সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে প্রায় পাঁচ দিনই রুই মাছের বিভিন্ন ঝাল, ঝোল বা ভাজার পদ দেখতে পাওয়া যায়। তবে, পছন্দের এই রুই মাছ খাওয়ার আগে আপনারা কি একবারও খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, কত রকমের উপকারিতা থাকে এই রুই মাছে?
চলুন এই প্রতিবেদনেই জেনে নেওয়া যাক রুই মাছের বিভিন্ন গুনাগুন এবং উপকারিতার কথা।
১| রুই মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এমন উপাদান, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রোটিন, ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ফ্যাট, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মতো প্রচুর উপাদান রয়েছে রুই মাছে। সবথেকে মজার বিষয়, এই প্রতিটি উপাদানই রয়েছে একদম সঠিক পরিমাণে। না বেশি, না কম।
২| রুই মাছে রয়েছে অন্যান্য অনেক মাছের থেকে বেশি প্রোটিন। একটি রুই মাছের ১০০ গ্রামে প্রায় ২০ গ্রামের কাছাকাছি প্রোটিন থাকে। ফলে অন্যান্য বিভিন্ন মাছের তুলনায়, রুই মাছ খেলে জয়েন্টের ব্যথা যেমন ভালো থাকে, তেমনি শরীর সতেজ ও মজবুত হয়।
৩| রুই মাছ কিন্তু হার্টের রোগ দূর করতেও সাহায্য করে। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্ট ভাল রাখে, ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমায় ও অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, রক্ত জমাট বাঁধা ইত্যাদি রুখতেও সাহায্য করে।
৪| রুই মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কেবলমাত্র হৃদযন্ত্র নয়, বরং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতেও সাহায্য করে। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে রান্না করে রুই মাছ খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই অনেক সময় ডাক্তারেরা বয়স্ক মানুষদেরকে রুই মাছ খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকেন।
৫| রুই মাছে থাকে প্রচুর প্রোটিন। তবে এর পাশাপাশি এতে ভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম এর মতো উপাদানও ভরপুর পরিমাণে আছে। এগুলি শরীরের ত্বককে উজ্জল, তরতাজা এবং ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৬| যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তারাও নির্দ্বিধায় খেতে পারেন রুই মাছ। কারণ, এতে অন্যান্য অনেক খাবারের তুলনায় ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম থাকে। যার কারণে রুই মাছ খেলে যেমন ওজনও বাড়ে না, তেমনি পেটও ভর্তি থাকে। ফলে যারা জিম করছেন, তারা প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য ওজন বেড়ে যাওয়ার চিন্তা না করে মন ভরে রুই মাছ খেতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন