সমকালীন প্রতিবেদন : কার্তিক মাস বা কখনও কখনও অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয় ছটপুজো। ছট শব্দটি আসলে একটি অপভ্রংশ শব্দ। শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতে ছটপুজো পালিত হয়। এই ষষ্ঠী শব্দ থেকেই ছট বা ছটী শব্দটি এসেছে।
প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, ছটপুজো মূলত পালিত হয় সূর্যদেব এবং তার স্ত্রী ঊষার আরাধনার জন্য। এই ঊষার আর এক নাম ছটী মাঈ। আর সেই থেকেই উৎপত্তি হয়েছে ছটপুজোর। বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এই ছটপুজো পালন করেন। নেপালের একটি বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ অংশগ্রহণ করেন এই পুজোয়।
বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে সীতাদেবী প্রথম ছটপুজো করেছিলেন। তত্কালীন অঙ্গ প্রদেশের মুঙ্গেরে সীতা ছয় দিন ছট পালন করেছিলেন বলে জানা যায়। ১৪ বছর বনবাসে কাটিয়ে এবং রাবণকে বধ করে সীতা উদ্ধার করার পর রাম ও লক্ষ্মণ সীতাকে নিয়ে অযোধ্যা ফিরে আসেন।
তারপর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথি থেকে শুরু করে ছয় দিন ধরে ঋষি মুদগলের আশ্রমে থেকেই ছট পালন করেন সীতা। সেখানে আজও তাঁর পায়ের ছাপ রয়েছে। তাই এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আর এই বিশেষ সময়ে ভাগ্য বদলে যাবে মিথুন, কন্যা ও তুলা রাশির জাতকদের।
এই সময়ে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়তে পারে। বহু দিন ধরে আটকে থাকা কাজ শুরু হতে পারে। যদি স্বাস্থ্য খারাপ হয়, তাহলে তা এবার ভালো হতে পারে। সমাজে বাড়বে মান সম্মান। পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে পারবেন এই সময়কালে।
তাই এই বিশেষ তিথিতে যে এইসব মানুষের ভাগ্য বদলে যেতে চলেছে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আপনিও এই রাশির জাতক হলে শুরু করতে পারেন কোনো নতুন পরিকল্পনা।
প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কোনরূপ অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া ই-সমকালীনের উদ্দেশ্য নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন