সমকালীন প্রতিবেদন : রবিবার যেন বাংলাদেশের জন্য একটা স্পেশাল দিন ছিল। না, তারা ওইদিন কোনোভাবে সফল হয়নি, বরং ভারত হেরে যাওয়ায় নাকি তাদের খুব আনন্দ হয়েছে। রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারের পর এমনই সব মন্তব্য ভেসে এল বাংলাদেশ থেকে।
ভারত বিশ্বকাপ জিততে না পারায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন বাংলাদেশিদের একাংশ। কেউ কেউ তো বললেন, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতলেও এত আনন্দ হতো না, যতটা বেশি আনন্দ হচ্ছে ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জেতায়।
যদিও এবার বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। কারণ সেমিফাইনালে ওঠা তো দূর অস্ত, গ্রুপ পর্যায়ে মাত্র দুটি ম্যাচে জিততে পারে ‘টাইগার’-রা। হেরে যায় সাতটি ম্যাচে। পয়েন্ট তালিকায় আফগানিস্তানের নীচে আট নম্বরে শেষ করে।
কিন্তু তাতেও কি তাদের মুখের বুলি কমেছে! না, মোটেই কমেনি। তাই হয়তো রক বাংলাদেশি সমর্থক বলে উঠলেন, 'ইন্ডিয়া হারলেই আমাদের পৈশাচিক আনন্দ হয়। আমাদের মনে হচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়া নয়, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতেছে।'
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া হেরে গেলেও গোটা ক্রিকেট বিশ্ব রোহিত-কোহলি-সামিদের পারফরম্যান্সের যথেষ্ট প্রশংসা করেছে। যদিও সেই তালিকায় ব্যতিক্রম বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকেরা। ফাইনালে ভারত হারতেই তারা রাস্তায় নেমে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই অনেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর এবার এই প্রতিবাদে শামিল হলেন ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান। ইরফান পাঠান সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল এক্স-য়ে একটি টুইট করেছেন। বিষয়টি তিনি মজার ছলে লিখলেও সমালোকদের যে তুলোধনা করেছেন, সেটা বুঝতে আর কারোর বাকি নেই। ইরফান লিখেছেন, 'আমি নাচ করতাম আর প্রতিবেশীরা ভয়ে কাঁপত।'
কিন্তু বাংলাদেশি সমর্থকদের এমন আচরণ কি সত্যিই কাম্য? যেখানে প্রতিবেশী দেশের স্বাধীনতার লড়াই থেকে তাদের সর্বোতভাবে সাহায্য, সবেতেই ভারত আগে এগিয়ে আসে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে এমন মনোভাব কি নিজের পায়ে কুড়ুল মারার মতো বিষয় নয়? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন