সমকালীন প্রতিবেদন : প্রায় এক যুগ পর ভারতের মাটিতে শুরু হয়েছে একদিনের ক্রিকেট ম্যাচের বিশ্বকাপ। ২০১১-য় ধোনির পর আরও একবার দেশের মাটিতে টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বজয় দেখার অপেক্ষায় গোটা দেশ। তবে ২০১১ সালেই ভারতের শেষ বিশ্বকাপ জয়।
এরপর ২০১৩ সালে শেষ কোনও আইসিসি ট্রফি জিতেছে ভারত। তারপর থেকেই আইসিসি আয়োজিত ক্রিকেটের যে কোনও ফর্ম্যাটেই ভারতের হাতে এসেছে শুধুই হতাশা। ক্যাপ্টেন বদলানো হলেও বদলায়নি ভারতের দুর্ভাগ্য। তবে এবারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে নিয়ে বিশেষ আশাবাদী দেশবাসী।
এর মাঝে কোন দেশ জিততে পারে এবারের বিশ্বকাপ, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। ইতিমধ্যেই জ্যোতিষীরাও জানাচ্ছেন নিজেদের মতামত। আর এবার এমনই এক ভবিষ্যদ্বাণী করে চমকে দিলেন 'বিশ্বখ্যাত' জ্যোতিষী গ্রিনস্টোন লোবো।
উল্লেখ্য, এই মানুষটি বিখ্যাত হয়েছেন তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর জন্যই। কারণ, অতীতে গ্রিনস্টোন লোবোর বেশিরভাগ ভবিষ্যদ্বাণীই মিলেছে। ২০২২ সালে ফিফা বিশ্বকাপে যে মেসির আর্জেন্টিনা জিতবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন লোবো।
শুধু তাই নয়, ২০২১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে মেসির ভাগ্য বদলাতে চলেছে, তাও জানিয়েছিলেন গ্রিনস্টোন লোবো। এছাড়াও, গত তিনটি ক্রিকেট বিশ্বকাপের জয়ী দলের নামও প্রতিযোগিতা শুরুর আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের এই জ্যোতিষী।
২০১১ সালে তাঁর বাজি ছিলো ভারত। ২০১৫ এবং ১৯-এ ছিলো যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। টানা তিনবার মিলেছে তাঁর কথা। আর এবারও তিনি করলেন ভবিষ্যদ্বাণী। লোবোর মতে, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিততে চলেছে ভারত। নিজের ভবিষ্যদ্বাণীর স্বপক্ষে যুক্তিও সাজিয়েছেন তিনি।
তিনি নাকি বিশ্বাস করেন যে, সফল ব্যক্তিরা একটা নির্দিষ্ট সময়েই জন্ম নেন। তাই তাঁর মতে, এবার যে অধিনায়কের জন্ম ১৯৮৭ সালে, তাঁর বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা বেশি। আর এবারের বিশ্বকাপ জয়ের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে রয়েছেন ১৯৮৭ সালে জন্মানো রোহিত শর্মাই।
তবে তিনি বলেন যে, এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে ১৯৯০ তে জন্মানো অধিনায়কদের কথাও। সেই তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার।
তবে ১৯৮৭ সালে শুধু রোহিত শর্মা জন্মান নি, এই একই সালে জন্মেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসানও। ফলে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ কোনও চমক দিতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন