সমকালীন প্রতিবেদন : পৃথিবীর সবথেকে ভয়ানক কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় হল ‘হারিকেন’, ‘টাইফুন’ ও ‘সাইক্লোন’। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর এবং উত্তর-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘হারিকেন’। আর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় ‘সাইক্লোন’।
একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি হলে তার নাম হয়ে যায় ‘টাইফুন’। আবহাওয়াবিদরা বলেন, যখন কোনও উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের তীব্রতা ঘণ্টায় ১১৯ কিলোমিটার বা তার বেশি হয়, তখন তাকে উৎপত্তিস্থল অনুযায়ী ‘টাইফুন’ বলা হয়।
বাতাসের গতিবেগ অনুযায়ী টাইফুনকে ১ থেকে ৫ নম্বর ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। আর এবার যে ঝড় আসছে, তা ক্যাটাগরি ৫- এ পড়ছে। তাহলেই ভাবুন, কতটা ভয়ানক হবে এই ঝড়। সেই কারণেই হয়তো এটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী ঝড়ের তকমা দেওয়া হয়েছে।
এই ঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে 'বলাভেন'৷ এই টাইফুন ঝড় বিপুল ধ্বংসলীলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি, এল নিনো আবহাওয়ার জন্যই এই ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক আরও বেশি করে তৈরি হয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ প্রায় ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়, আর ঝড়ের আছড়ে পড়ার গতিবেগ আরও বেশি৷
আর তাই নিয়েই কার্যত তোলপাড় শুরু হয়েছে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে৷ কারণ, তাঁরা বলছেন, এটি পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে৷ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এই ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ শেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৯৫ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে৷
ক্রমে সাগরের উপর আরও বেশি সময় কাটাচ্ছে এই ঝড়। আর শক্তি বৃদ্ধি করছে৷ সেইসব কারণে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে করা হচ্ছে যে, এটি সবচেয়ে বেশি গতিবৃদ্ধি করে বুধবার থেকে৷ এটি তারপর ক্যাটাগরি ১ থেকে ক্যাটাগরি ৫-এর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এটি৷
মাত্র ১২ ঘণ্টায় এই ঝড়ের গতিবেগ দ্বিগুণের বেশি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ২০১৫ সালের বিধ্বংসী হারিকেনের থেকে এর গতিবেগ আরও অনেকটা বৃদ্ধি পাবে৷ সেই কারণেই ধীরে ধীরে এই শক্তিশালী টাইফুনকে ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন