সমকালীন প্রতিবেদন : জলের বদলে কুমিরের নাইট-ওয়াক দেখা গেল লোকালয়ে। ভাগীরথী নদী থেকে উঠে এসে সটান একটি বাড়ির পাশে ঘাঁটি গাড়ে কুমিরটি। এর পরেই কুমিরটি ধীরে ধীরে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ে।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক এতটাই বেশি ছিল যে, সারা রাত জেগে কুমিরটিকে পাহারা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন পালপাড়া এলাকার।
এরই মাঝে রাতে কালনা থানা, দমকল বিভাগ এবং বনদফতরকে খবর দেওয়া হয়। তবে এর মাঝে পলক না ফেলে কুমিরটিকে পাহারা দিতে থাকেন বাসিন্দারা। কুমিরটি নড়েচড়ে কোথাও গেলে পিছু পিছু তারাও যায়।
একভাবে টর্চ জেলে, ঘুমের বারোটা বাজিয়ে এভাবেই কেটে যায় তাদের। অন্ধকার কেটে পুবের আকাশ লাল হলেও কাটেনা আতঙ্ক। কারণ, তখনো যে কুমির রয়েছে ডাঙাতেই। তবে মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ কুমিরটিকে উদ্ধার করেন বন দফতরের কর্মীরা।
কিন্তু এই কুমিরকে দেখে কার্যত গলদঘর্ম অবস্থা হয় এলাকাবাসীর। তাই কেউ বলছেন, আগে কখনও এভাবে আস্ত কুমিরকে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখিনি। আবার অন্যজন বলছেন, একদম বাড়ির সামনে দেখলাম।
উল্লেখ্য, এর আগেও কুমির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কাটোয়া এলাকায়। তবে সেদিন ডাঙায় নয়, নদীতে কুমিরকে দেখা যায়। কুমির দেখার জন্য নদীর ঘাটে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন। কাটোয়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় কাশীগঞ্জ ঘাটের কাছে ওই প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছিল।
তবে সেক্ষেত্রে কাটোয়ার বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, সেটি কুমির নয়। ঘড়িয়াল। তবে এক্ষেত্রে প্রাণীটি ঘড়িয়াল নয়, আস্ত একটি কুমির। অন্য দিকে, ভাগীরথী থেকে কুমির উঠে আসাকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জায়গায় মিষ্টি জলের কুমির বিরল। সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। তাই এই কুমিরটি কীভাবে ওই জায়গায় এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন