Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যাচ্ছে নাসার রোবট ভাইপার

Robot-Viper

সমকালীন প্রতিবেদন : বিশ্বের আকাশ গবেষণার সূত্রপাত ঘটে নাসার হাত ধরেই। তার পরেই রাশিয়া চাঁদে একের পর এক কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠায়। সেটা অবশ্য তখন ছিল 'অ্যাপেলো' ও 'লুনার' প্রতিযোগিতা। 

ইতিমধ্যে মহাকাশ গবেষণায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে চিন এবং ভারত। পিছিয়ে নেই ফ্রান্স এবং জাপানও। তবে ভারতের চাঁদের দক্ষিণ মেরুর সফল অভিযানের পরে এখন সকলের লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু। 

নাসা সূত্রে জানা যাচ্ছে, চাঁদের জল, বরফ এবং অন্যান্য খনিজের খোঁজে ২০২৩ সালেই পাঠানো হবে রোবট, যার নাম দেওয়া হয়েছে ভাইপার। পুরো নাম 'ভোলাটাইল ইনভেস্টিগেটিং পোলার এক্সপ্লোরেশন রোভার'।  ভাইপারের নীচে থাকবে বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি চাকা। বন্ধুর জমিতে চলাফেরা করতে থাকবে সাসপেনশন। 

ভারতের চাঁদের দক্ষিণ মেরু অভিযানের পরেই বিশ্বের দৃষ্টি পড়েছে চাঁদের অন্ধকার দিকে। অন্ধকার যে দিকটা মানুষের অজানা সেই দিকে অভিযান চালাবে নাসার রোবট। এর জন্য জোরালো হেডলাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

নাসার বিশ্বাস, ওখানেই পাওয়া যেতে পারে জল সহ একাধিক খনিজ পদার্থ। ইতিমধ্যেই অবশ্য খুব হালকা অক্সিজেনের খোঁজ পাওয়া গেছে। এবার প্রধান খোঁজ হলো হাইড্রোজেনের। তাহলেই জলের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা বলেই বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের।

চাঁদের অন্ধকার দিকটায় প্রবল ঠান্ডা। তা সহ্য করার মতো প্রযুক্তিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই প্রথম কোনও রোভারে জোড়ালো হেড লাইট লাগানো হচ্ছে। ভাইপার রোবটটি প্রস্তুতির বেশিরভাগ কাজ ইতিমধ্যেই সারা হয়ে গেছে। পরবর্তী পর্যায়ের জন্য অনুমোদন দিয়েছে নাসা। 

২০২০ থেকে ২০৩০ সময়কাল মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস। শুধু নাসাই নয়, পৃথিবীর আরও বেশ কয়েকটি দেশ মহাকাশ গবেষণায় মন দিয়েছে। 

চন্দ্র অভিযানের পাশাপাশি চলছে মঙ্গল অভিযান। এই মুহূর্তে লালগ্রহের মাটিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমেরিকা এবং চীনের রোভার। আবার সূর্যের অভিমুখে ছুটে চলেছে ভারতের আদিত্য। 

নাসার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, রোবট ভাইপার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অভিযানে সফল হবে। ভাইপার সেখানে জলের সন্ধান দিতে পারলে বদলে যাবে অনেক ভাবনাচিন্তাই। মহাকাশ গবেষণায় তা নতুন মাইলস্টোন সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। 






‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন