সমকালীন প্রতিবেদন : গত বছর পুজোর সময় রাজ্যজুড়ে বৃষ্টিপাত হয়। অষ্টমীর দিন বিকেল থেকেই আবহাওয়া বদলে যায়। বৃষ্টিভেজা পথে কাদাজল মাথায় করেই হেঁটে হেঁটে মণ্ডপ দেখতে বাধ্য হন সকলে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, চলতি বছরেও কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে?
এদিকে আর কয়েকদিন পরেই কিন্তু মা আসছেন। আগামী ২১ অক্টোবর মহাসপ্তমী। সেই সময় কেমন থাকবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি? সেই বিষয়ে এবার এক গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দিল মৌসম ভবন। পুজোর আবহাওয়া নিয়ে বাঙালির মনের কৌতূহল দূর হল শনিবার থেকেই।
বর্ষণ বিভীষিকা পার করে শনিবার অনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গে শুরু হল শরতের অধিবাস। দুর্গাপুজোর শেষের কয়েকটা দিন গোনার মধ্যেই উৎসবের সাজে সেজে উঠল প্রকৃতি। যদিও প্রকৃতির ডাকে অনেকদিন আগেই সেজেছিল কাশবন, শিউলিতলা। সরোবর ভরেছিল পদ্মে।
এবার তাদের ওপর ছড়িয়ে গেল পেঁজা মেঘের সামিয়ানা। আজ থেকেই মোটামুটি শরৎ আগমন ঘটল বঙ্গে। তাই নীল–সাদা আকাশের দিকে তাকিয়ে এখন একথা বলাই যায় যে, অবশেষে রাজ্য থেকে বিদায় নিতে চলেছে বর্ষা।
এদিকে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ১২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নেবে মৌসুমী বায়ু। তার পর ধীরে ধীরে রাজ্যের দখল নেবে পশ্চিমি শুষ্ক বাতাস। উল্লেখ্য, চলতি বছর নির্দিষ্ট দিন থেকে ২ দিন পরে রাজ্যে প্রবেশ করেছিল বর্ষা।
তবে প্রথম থেকেই বাড়ছিল বৃষ্টির ঘাটতি। বিশেষ করে গোটা জুলাই কার্যত অনাবৃষ্টির মুখে পড়ে দক্ষিণবঙ্গ। হাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান বলছে, বর্ষার আগমন থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে ২২ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তবে চলতি সপ্তাহের বর্ষণ যোগ করলে ঘাটতির পরিমান কিছুটা কমবে। তাই এবার পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ১২ অক্টোবর রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নেবে। অর্থাৎ, দেবীপক্ষ শুরুর মুখে নির্দিষ্ট দিন থেকে ২ দিন পরে বিদায় নিতে চলেছে বর্ষা।
বর্ষা বিদায়ের ফলে পুজোয় রাজ্যে দুর্যোগের আশঙ্কা রইল না। সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া রাতের দিকে তাপমাত্রার পতনের ফলে উৎসবের দিনগুলোয় আরামদায়ক আবহাওয়া থাকবে বলে অনুমান। তাই এবার পুজোর আনন্দে কোনও খামতি না থাকারই আশা রয়েছে বেশি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন