Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহে জীবন থাকার ইঙ্গিত, আর সেটা কি এলিয়েন ?

 

Life-on-another-planet

সমকালীন প্রতিবেদন : 'এলিয়েন' শব্দটি এখন আমাদের কাছে খুবই পরিচিত। সম্ভবত ১৯৭০ এর দশকে এরিক ফণ দানিকেনের কল্পবিজ্ঞানমূলক রচনা 'দেবতা কি গ্রহান্তরের মানুষ' বইটি মানুষকে গ্রহান্তরের প্রাণী সম্পর্কে আরও কৌতূহলি করে তোলে। 'এলিয়েন' শব্দটি দিয়ে বোঝানো হয় অন্য গ্রহর জীবকে। 

ইতিমধ্যে অবশ্য মেক্সিকো পার্লামেন্ট দাবি করেছে, তাদের কাছে ২টি এলিয়েনের জীবাশ্ম আছে। সেই বিতর্কে না গিয়ে একটা সাধারণ কৌতূহল হলো, কেন বিজ্ঞানীরা বলছেন এলিয়েনের খোঁজ পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা ?‌ কৌতূহলটা এখান থেকেই শুরু।

বিশ্বব্যাপী এই নিয়ে গবেষণা চলেছে। তবে সেই গবেষক দলের প্রথমেই আছে নাসা। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সম্প্রতি সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহে জীবন থাকা সম্পর্কে ইঙ্গিত শনাক্ত করেছে। সেখানে পৃথিবীর মতো আরও অনেক গ্রহ রয়েছে বলে নাসা ধারণা করছে। 

স্কটল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্যাথরিন থেইম্যানস বলেন, 'অসীম নক্ষত্র এবং গ্রহের একটি মহাবিশ্বে আমরা বসবাস করি। সেখানে অবশ্য‌ই একমাত্র আমরাই বুদ্ধিমান প্রাণী হতে পারি না।' অন্য গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খোঁজার প্রধান মাধ্যম অত্যন্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ। 

বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে যে টেলিস্কোপগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলি এখন দূরের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণকারী গ্রহগুলির বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণ করতে পারে। পৃথিবীর মতো জীবিত প্রাণী দ্বারা উৎপাদিত হয়, এমন রাসায়নিকের সন্ধান করতে পারে। 

এমাসের শুরুর দিকে সেখানে বড় ধরনের একটি আবিষ্কার হয়। ১২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত কে ২-১৮বি নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এমন গ্যাস শনাক্ত করা হয়, যা পৃথিবীতে সামুদ্রিক জীব দ্বারা উৎপাদন হয়ে থাকে। এই গ্রহটিকে বিজ্ঞানীরা ডাকেন ‘গোল্ডিলক্স জোন’ নামে।

এই গোল্ডিলক্স জোন’– এ প্রাণের সমস্ত অনুকূল পরিবেশ আছে বলেই গবেষকেরা মনে করেন। বিজ্ঞানীদের একটি বিশেষজ্ঞ দল আশা করছে, আগামী এক বছরের মধ্যেই তাঁরা জানতে পারবেন যে, ওখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা? 

যিনি এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক নিক্স মধুসূদন একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'যদি আমরা এই গ্রহে জীবনের চিহ্ন খুঁজে পাই, তাহলে এই সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে যে, মহাবিশ্বে এইরকম আরও জীবন থাকতে পারে।'‌ তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, পাঁচ বছরের মধ্যে মহাবিশ্বের জীবন সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়ার একটি বড় পরিবর্তন হবে।‌







‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন