সমকালীন প্রতিবেদন : গত শুক্রবার থেকেই গাজা ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করেছে ইজরেয়েলি সেনাবাহিনী। বহু পণবন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে। এই বিষয়ে ইজরায়েলের সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়াল হাগারি জানিয়েছেন, প্যালেস্তিনীয় রকেট হামলাকে প্রতিহত করার জন্য ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ট্যাঙ্কের মাধ্যমে অভিযান চালাচ্ছে। যে যে অঞ্চলে পণবন্দিদের রাখা হয়েছে, সেই জায়গাগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আর এর মাঝে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষের নবম দিনে বড় সাফল্য এলো ইজরায়েলের ঝুলিতে। এবার প্যালেস্টিনিয়ান সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের শীর্ষ কমান্ডার বিল্লাল আল-কেদরাকে শেষ করলো ইহুদি দেশের সেনা। হামাসের অন্যতম সামরিক শাখা নুখবা ফোর্সের দায়িত্বে ছিল বিল্লাল।
রবিবার সকালেই হামাস নেতা বিল্লালের এই খবর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানায় ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ। উল্লেখ্য, শনিবারও গাজা স্ট্রিপে প্যালেস্তানীয় জঙ্গিদের একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে কার্পেট বম্বিং চালায় ইহুদি বায়ু সেনা। চার দিক থেকে ছোট্ট এই জায়গাটিকে ঘিরে ফেলেছে ইহুদি বাহিনী।
এদিকে, এই অবস্থায় ইজরায়েলকে চোখ রাঙাচ্ছে ইরান। ইরানের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘ইজরায়েলের বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং এর পরিণতি সুদূরপ্রসারী হতে পারে।’
ইরানের এই হুঁশিয়ারির ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে, ইরানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে সৌদি আরবও। সব মিলিয়ে ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ আরও বহুমুখী সংঘর্ষের মানচিত্র তৈরি করতে পারে, সেই আশঙ্কা ক্রমেই ঘন হচ্ছে।
যদিও এক্ষুনি থামতে নারাজ ইজরায়েল। তাই যুদ্ধের মধ্যেই গাজা সীমান্তে সৈনিকদের সঙ্গে দেখা করেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি সেখানে বলেন, 'তোমরা প্রস্তুত তো? আরও অনেক কিছু হবে।' অর্থাৎ হামাসকে আরও বড় আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে ইজরায়েল। পরিষ্কার সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন